মালদহের সভায় অমিত শাহ। ছবি: রাজ্য বিজেপির টুইটার হ্যান্ডল থেকে সংগৃহীত।
মালদহে সভা করেছেন অমিত শাহ। তাতে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন তিনি। মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়ের সরকারকে উপড়ে ফেলার হুঙ্কার দিয়েছেন। কিন্তু তাঁকে বিশেষ আমল দিতে নারাজ রাজ্য তৃণমূল। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির মন্তব্যকে পাগলের প্রলাপ বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর দাবি, ‘‘আর বেশিদিন নেই ওদের। তাই মরিয়া হয়ে উঠেছে।’’
মঙ্গলবার মালদহে অমিত শাহর সভা শেষ হলে, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ফেসবুক পেজে লাইভ ভিডিয়োয় দলের প্রতিক্রিয়া জানান ডেরেক ও’ব্রায়েন।
তিনি বলেন,‘‘ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয় বিজেপি। বাংলার সংস্কৃতি একেবারেই বোঝে না। বরাবরের মতো ওদের বক্তৃতা অত্যন্ত নিম্নরুচির। ভুল তথ্যে ভরা। আসলে শূন্য পাওয়ার দিকে এগোচ্ছে তো! জানে সময় এসেছে। তাই মরিয়া হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক আতঙ্ক গ্রাস করেছে ওদের। কেউ কেউ আবার বলছেন, পাগল হয়ে গিয়েছে বিজেপি। আবার দু’টোই হতে পারে।’’
ফেসবুকে দলের প্রতিক্রিয়া জানালেন ডেরেক।
দু’দিনের বাংলা সফরে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এ দিন মালদহে প্রথম সভাটি করেন তিনি। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। বলেন—
• রাবণের শাসন ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, আর এ তো মমতার শাসন! হেলিকপ্টার নামার অনুমতি না দিলে এ বার থেকে হেলিকপ্টার থেকে ভাষণ দেব। কিন্তু মমতা দিদির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব:অমিত।
• এই মহাজোট স্বার্থের জোট। আমরা বলছি গরিবি হটাও, বিরোধীরা বলছে মোদী হটাও। তাই সাবধান হয়ে যান। পদ্মফুলে ভোট দিন: শাহ।
• মানুষের জন্য চিন্তিত নন বিরোধীরা, মোদীকে হটানোই তাঁদের লক্ষ্য। ব্রিগেড সমাবেশে এতজন নেতা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৯ জনেরই ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার: শাহ।
মালদহে অমিত শাহের ভাষণ।
• মানুষের কল্যাণে ১২৯টি প্রকল্প আনতে চায় মোদী সরকার, কিন্তুর মমতার সরকার তা বাংলায় আনতে দিচ্ছে না: অমিত।
• নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এ বার বাংলায় ইস্যু হতে চলেছে: অমিত।
• বিজেপিকে ক্ষমতায় আনুন, একজন অনুপ্রবেশকারীও বাংলায় ঢুকতে পারবে না: শাহ।
• ৯ কোটি দরিদ্র মানুষের বাড়িতে শৌচালয় বানিয়েছে মোদী সরকার, গত ৭০ বছরে যা হয়নি তা ৫ বছরে করে দেখিয়েছেন মোদীজি: অমিত।
• শেষ পাঁচ বছরে বাংলাকে ১ লক্ষ ৩২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে ইউপিএ সরকার, মোদীজি তার আড়াই গুণ বেশি দিয়েছেন: শাহ।
• সপ্তম বেতন কমিশন প্রয়োগ হচ্ছে না কেন বাংলায়?কেন্দ্রের থেকে ৪৯% কম ডিএ দেয় রাজ্য সরকার। টাকা তো কেন্দ্র দিচ্ছে। কোথায় যাচ্ছে সে টাকা? বিজেপিকে আসতে দিন। সব টাকা খুঁজে বের করব। একবার বিজেপির সরকার গড়ুন। বাংলায় অপশাসন উপড়ে ফেলব: অমিত।
• বাংলার জনগণের অধিকার রক্ষায় আমার জান কবুল: শাহ।
• গুজরাতে সিন্ডিকেট ট্যাক্স লাগে না। ১৬ রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায়,কোথাও সিন্ডিকেট ট্যাক্স নেই। অথচ এখানে সিন্ডিকেট ট্যাক্স দিতে হয়। ভেবে দেখুন কোথায় যাচ্ছে টাকা। মমতার লোকেরাই অর্ধেক খেয়ে নেন। তৃণমূল সরকারকে গদিচ্যুত করুন। আর সিন্ডিকেট ট্যাক্স দিতে হবে না: অমিত।
• সব হিন্দু শরণার্থীকে বলছি, বিজেপি তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে: অমিত শাহ।
• দেশজুড়ে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে, বিরোধী নেতারা খুন হয়েছেন এখানে: শাহ।
• এত বড় ব্রিগেড সমাবেশে কেই ভারতমাতা কি জয় বলেছে কি?কোথায় গেল দেশভক্তি?: অমিত।
• এই ভোট বাংলার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ, দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপত্তার জন্য প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে: শাহ।
• অনুপ্রবেশ করানোর, খুন করানোর তৃণমূল সরকার ক্ষমতাচ্যুত হবে: অমিত।
• আগে ৩২ শতাংশ চাকরি দিত বাংলা, এখন দেয় ৪ শতাংশ: শাহ।
• তৃণমূল কর্মীদের বলছি, কান খুলে শুনুন, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব মিলবে: অমিত।
• বিজেপির যাত্রা বেরোলে মমতা সরকারের অন্তিম যাত্রা। ভয় পেয়ে যাত্রার অনুমতি দেননি মমতা: শাহ।
• বাংলায় দুর্গা বিসর্জন, সরস্বতী পুজোর অনুমতি দেয় না সরকার। আপনারা এমন বাংলা চান?সব কারখানা, ব্যবসা বন্ধ। একমাত্র বোমা-বন্দুকের কারখানা ফুলে ফেঁপে উঠেছে তৃণমূলের আমলে। এমন বাংলা চান আপনারা? একবার বিজেপিকে সরকার গড়তে দিন। আমরা নিরাপত্তা দেব: অমিত।
• এই ভোট সন্ত্রাস মুক্ত করার ভোট: অমিত।
• বাংলায় গণতন্ত্র শেষ করার চেষ্টা করছেন মমতা: অমিত শাহ।
• সুভাষবাবুর নাম অমর রাখতে মোদীজি আন্দামানে দ্বীপের নাম বদল করেছেন: অমিত শাহ।
• সুভাষ চন্দ্র বসুকে ভোলাতে চেয়েছে কংগ্রেস। তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছেন নরেন্দ্র মোদী: অমিত শাহ।
• ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসেছি। তৃণমূল সরকারের গণেশ উল্টে দিতে এসেছি। গণতন্ত্রের হত্যাকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উপড়ে ফেলতে হবে: অমিত শাহ।
• গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা নিয়ে দু’মাস ধরে লড়াই করেছি। যাত্রা আটকাতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার।কঠিন পরিস্থিতিতে লড়াই করে চলেছেন দলীয় কর্মীরা। এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করতে দেওয়া হয়নি: দিলীপ ঘোষ।
• রাজ্য সরকার গণতন্ত্র হরণ করছে: দিলীপ ঘোষ।
• ধর্ষিতাকে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণ ২০ হাজার টাকা! উনি ধিক্কারের যোগ্য: রাহুল সিংহ।
• পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে একটাও মানুষ মরেননি। আর এখানে প়ঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৫০ জন মারা গিয়েছেন। লজ্জায়