প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত ভোটের মতোই পুনর্নির্বাচনের ফলেও আধিপত্য বজায় রেখেছে তৃণমূল। জেলা প্রশাসন থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে আসা পুনর্নির্বাচনের ফল সেই ইঙ্গিতই করছে। পঞ্চায়েত ভোটে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে পুনর্নির্বাচনে সাড়ে ৬৩ শতাংশ আসনে জিতেছে শাসকদল। পূর্ণাঙ্গ পঞ্চায়েত ভোটে ৬৬ শতাংশ আসনে জয়ী হয়েছিল তারা।
ভোটের একদিন পরে গত ১৬ মে ঝাড়গ্রাম বাদে রাজ্যের ১৯টি জেলার ৫৭২টি বুথে পুনর্নির্বাচন হয়েছিল। কমিশন সূত্রের খবর, সেই বুথের নিরিখে ৫০৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে পুনর্নির্বাচন হয়। তার মধ্যে ৩২৪টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। পুনর্নির্বাচনের ফলে ৮১টি আসনে জিতেছে বিজেপি। ৪৫টি আসনে জিতেছে নির্দল। আর বামকে পিছনে ফেলে কংগ্রেস চতুর্থ স্থান পেয়েছে।
পুনর্নির্বাচনের ফলের নিরিখে শাসকদলকে চিন্তায় ফেলতে পারে মুর্শিদাবাদ। ওই জেলায় ৫৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে পুনর্নির্বাচন হয়েছিল। তার মধ্যে তৃণমূল ২৮টি আসন জিতলেও বিরোধীদের দখলে গিয়েছে ২৬টি। পাশাপাশি, নদিয়াতেও একই চিত্র। সেখানের ৫০টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে ২৬টি শাসকদল জয়ী হলেও বিরোধীরা জিতেছে ২৪টি আসনে। কোচবিহারে ৪৩টি’র মধ্যে ২৯টিতে তৃণমূল জিতেছে। ওই জেলাতে ১১টি আসনে নির্দল জয়ী হয়েছে। হুগলিতে ৯টি আসনের মধ্যে নির্দল জিতেছে ৫টি’তে। মালদহেও শাসকদলের সঙ্গে টক্কর দিয়েছেন বিরোধীরা। উত্তর ২৪ পরগনা বা হাওড়াতে অবশ্য কার্যত দাগ কাটতে পারেনি বিরোধীরা। উল্লেখ্য, ভোটের দিনের তুলনায় পুনর্নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সন্তোষপ্রকাশ করেছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রকুমার সিংহ। মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ার পুনর্নির্বাচনকে উল্লেখ করে তাঁদের মত, গত ১৬ মে অশান্তি তুলনামূলকভাবে কম ছিল। মানুষ কিছুটা ভোট দিতে পারার জন্যই দুটি জেলায় পুনর্নির্বাচনের ফল এমন হয়েছে। তা উড়িয়ে দিচ্ছেন শাসকদলের নেতৃত্ব। তাঁদের মতে, সামান্য হেরফের, আলাদা কিছুই হয়নি।