CPIM

ভ্যাকসিন-কাণ্ডে বাম বিক্ষোভে ধস্তাধস্তি

সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার-সহ নেতারা ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন নিতে অস্বীকার করলে পুলিশ শেষ পর্যন্ত তাঁদের ছেড়ে দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২১ ০৬:৩৬
Share:

কসবা থানার সামনে কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

জাল ভ্যাকসিন-কাণ্ডের প্রতিবাদকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধল বাম কর্মী-সমর্থকদের। থানা ঘিরে চলল বিক্ষোভ। জাল ভ্যাকসিনের ঘটনায় জড়িত পান্ডাদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রবিবার কসবা থানার সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছিল কলকাতা জেলা বামফ্রন্ট। সেইমতোই জমায়েত করেছিলেন অনাদি সাহু, দেবেশ দাস, শতরূপ ঘোষেরা। তিন জন বক্তার বলা হয়ে যাওয়ার পরে বামেরা সমাবেশ আরও চালিয়ে যেতে চাইলে ১১ জন নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। বাম কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। থানা ঘিরে চলতে থাকে বিক্ষোভ। সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার-সহ নেতারা ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন নিতে অস্বীকার করলে পুলিশ শেষ পর্যন্ত তাঁদের ছেড়ে দেয়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এ দিনই দাবি করেছেন, হাইকোর্টের কোনও কর্মরত বিচারপতিকে দিয়ে কেলেঙ্কারির তদন্ত হোক। অধীরবাবুর বক্তব্য, ‘‘পুলিশের সিট-এর উপরে কোনও ভরসা নেই। মুখ্যমন্ত্রীই বলে দিচ্ছেন অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার ধারা প্রয়োগ করতে, পাঁচ হাজার বার ওঠবোসের শাস্তিও বলে দিচ্ছেন। তা হলে আর আইনি পরামর্শের দরকার কী?’’ প্রদেশ সভাপতির মতে, ‘‘মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। পুলিশ-পুরসভার নাকের ডগায় জাল ভ্যাকসিন দিচ্ছে, এটা অনেক বড় কেলেঙ্কারি!’’ তৃণমূলের এক নেতা অবশ্য বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কথার অপব্যাখ্যা করে ওঁরা হাততালি কুড়োনোর চেষ্টা করছেন! মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন খুনের চেষ্টার মতো কঠোর ধারা দিতে। মামলায় তার পরে কী হবে, সেটা তো আদালতের বিচার্য।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement