—প্রতীকী ছবি।
লোকসভা নির্বাচনের পরে রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও জোট বেঁধে লড়বে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ আসন কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে বাকি তিন আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বামফ্রন্ট। লোকসভায় রাজ্যে এ বারও বাম ও কংগ্রেসের ফল আশানুরূপ হয়নি। তবে প্রাথমিক পর্যালোচনা করে দু’দলের নেতৃত্ব মনে করছেন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় লোকসভায় তাঁদের ফল খারাপ হয়নি। বরং, কিছু জায়গায় ভোট বেড়েছে। আর বাম ও কংগ্রেস বেশ কিছু ভোট পেয়েছে বলেই বাংলায় বিজেপির আসন-সংখ্যাও কমে এসেছে। এমতাবস্থায় ভোটের পরেই জোট ছেড়ে বেরিয়ে এলে বাম ও কংগ্রেসের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আরও প্রশ্ন উঠবে। তাই উপনির্বাচনে আসন সমঝোতা বজায় রাখারই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে শুক্রবার বামফ্রন্টের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, কলকাতার মানিকতলা আসনে সিপিএমের রাজীব মজুমদার এবং নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণ (সংরক্ষিত) আসনে অরিন্দম বিশ্বাস প্রার্থী হচ্ছেন। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা (সংরক্ষিত) আসনে এ বার উপনির্বাচনে প্রার্থী বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের গৌরাদিত্য বিশ্বাস। পেশায় শিক্ষক গৌর ওই কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক কমলাক্ষী বিশ্বাসের পুত্র। গত ২০২১৬ ও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাগদা কেন্দ্রটি কংগ্রেসকে ছেড়েছিল বামেরা। বাগদা বিধানসভা যে লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে, সেই বনগাঁতেও এ বার কংগ্রেসের প্রার্থী ছিল। উপনির্বাচনে আবার ফ ব-কেই তাদের পুরনো কেন্দ্রে লড়তে দেওয়া হচ্ছে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, রায়গঞ্জে প্রার্থী হতে পারেন ওই কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক ও জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বৈঠকে জানিয়েছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করেই উপনির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে এ দিনের ফ্রন্ট বৈঠকে অবশ্য বিশেষ আলোচনা হয়নি। ফ্রন্টের দলগুলির নিজেদের পর্যালোচনা শেষ করলে তার পরে বামফ্রন্টে কথা হবে। ঠিক হয়েছে, ইজ়রায়েলের অনমনীয় আচরণের প্রতিবাদে আগামী ১৬ জুন কলকাতায় বামফ্রন্টের মিছিল হবে।