দলের ‘গণতন্ত্র বাঁচাও রথযাত্রা’য় যোগ দিতে শুক্রবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। বিজেপি সভাপতির নিরাপত্তার উপযুক্ত ব্যবস্থা রাখতে বলে তাঁর দফতর থেকে চিঠি এসেছে রাজ্য প্রশাসনের কাছে। যে চিঠি পেয়ে কার্যত স্তম্ভিত প্রশাসনিক মহল। কারণ, প্রথা অনুযায়ী এমন চিঠি প্রথমে পাঠানোর কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের। পরে অবশ্য দল আলাদা চিঠি দিয়ে নিরাপত্তার আর্জি জানাতেই পারে। বিষয়টি ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নজরে এনেছে রাজ্য সরকার।
নবান্ন সূত্রে বলা হচ্ছে, বিজেপি সভাপতি ‘জেড প্লাস’ নিরাপত্তা পান। তাঁর নিরাপত্তা দেয় সিআরপিএফ। কিন্তু তিনি যখন যে রাজ্যে যান, তখন সেই রাজ্যকে প্রয়োজনে বুলেটপ্রুফ গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স ইত্যাদি পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করতে হয়। সেই ব্যবস্থা করার জন্যই মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং এডিজি-র (আইনশৃঙ্খলা) কাছে চিঠি এসেছে বিজেপির লেটারহেডে। নবান্নের প্রবীণ আধিকারিকদের বক্তব্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ভিআইপি নিরাপত্তার দিকটা যাঁরা দেখভাল করেন, একমাত্র তাঁদেরই এমন চিঠি পাঠানোর কথা। তার ভিত্তিতেই সরকারি ভাবে পদক্ষেপ করা হয়। কেউ কেউ আবার বলছেন, রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে অংমিত শাহের পক্ষ থেকে যদি এমন চিঠি আসত, তা হলেও বিতর্কের কিছু থাকত না।
শুক্রবার বিমানে বাগডোগরা এসে প্রথমে শিলিগুড়ি এবং পরে কোচবিহারে যাওয়ার কথা অমিত শাহের। সে দিনই কোচবিহারে দলীয় রথযাত্রার সূচনা করার কথা তাঁর। অনুষ্ঠান সেরে সন্ধ্যায় বাগডোগরা হয়ে কলকাতা আসবেন তিনি। সে দিনই পাড়ি দেবেন দিল্লির পথে।
অন্য দিকে, কোচবিহার জেলা প্রশাসনও রথযাত্রার প্রস্তুতি নিয়ে সমস্যায় পড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, অমিত শাহের কর্মসূচি বা রথযাত্রার পথ কী হবে, তা বিজেপির তরফে পুরোপুরি জানানো হয়নি। বিজেপির জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য জোগাড় করতে হয়েছে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি মালতী রাভা অবশ্য বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে প্রশাসন যোগাযোগ করেছিল। আমরা সব তথ্য জানিয়েছি।’’
সরকারি সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবার অসম-বাংলা সীমানার বক্সিরহাট এবং শ্রীরামপুর দিয়ে বিজেপির সমর্থক বোঝাই বাস বা গাড়ি কোচবিহারে যাতে না ঢুকতে পারে, সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সীমানাবর্তী প্রতিটি সড়কে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।