কোনওরকমে রক্ষা পান গোপাল চন্দ। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।
পাকা রাস্তার ধারে নয়ানজুলিতে একটি চিতাবাঘ পড়েছিল। বেশ খানিক ক্ষণ কেটে গেলেও, নড়া চড়ার নাম নেই। আর তাতেই সাহস বাড়ছিল অতি উৎসাহী জনতার। তাঁরা ভেবে নিয়েছিলেন, চিতাবাঘটি মারা গিয়েছে। তাই ক্যামেরা তাক করে ক্রমশ এগোচ্ছিলেন তাঁরা। আর ঠিক তখনই বিপত্তি ঘটল। আচমকাই উৎসাহী জনতার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল ওই ‘মরা’ চিতাবাঘ।
সোমবার সকালে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা এলাকার দলগাঁও চা-বাগানের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সওয়া ৯টা নাগাদ রাস্তা পেরনোর সময় দ্রুত গতিতে ছুটে আসা একটি মোটরসাইকেল ধাক্কা মারে চিতাবাঘটিকে। তাতে রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে ছিটকে পড়ে সে।
এর পরেই চা-বাগানের শ্রমিকরা ওই নয়ানজুলির ধারে ভিড় জমাতে শুরু করেন। আসেন পথচলতি মানুষও। নড়াচড়া না করায় চিতাবাঘটি মারা গিয়েছে বলে ধরে নিয়েছিলেন তাঁরা। তাই ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারেননি। ধীরে ধীরে এগোতে শুরু করেন। আর ঠিক তখনই তাঁদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে চিতাবাঘটি। কাছে থাকা এক জনকে বাগেও পেয়ে যায় সে। কনুই কামড়ে ধরে তাঁকে টেনে আনে নয়ানজুলিতে। তবে চিতাবাঘটি গুরুতর জখম থাকায় কোনও ভাবে এ যাত্রা রক্ষা পেয়ে যান দলগাঁও চা-বাগানে গাড়িচালকের কাজ করা গোপাল চন্দ। ওই চা-বাগান এলাকাতেই তাঁর বাড়ি।
আরও পড়ুন: রাগ করে বেরিয়ে গিয়েছিলেন আরসালান, বাবার ধমক খেয়ে ফেরার পথেই দুর্ঘটনা!
আরও পড়ুন: মানবাধিকার পুরোপুরি লঙ্ঘিত কাশ্মীরে: ফের আক্রমণে মমতা, তীব্র নিন্দায় বিজেপি
খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনকর্মীরা। জাল এনে, ঘুমপাড়ানি গুলি ব্যবহার করে চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে দক্ষিণ খয়েরবাড়ি লেপার্ড রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে চিতাবাঘটির চিকিৎসা শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।