পথে থাকতেই কোচবিহারে শুরু বাম পদযাত্রার

কোচবিহারের রাজবাড়ি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার সমাবেশ করে শুরু হয়েছে ‘অধিকার যাত্রা’। আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছেন কৃষক সভার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য হান্নান মোল্লা। মোট ১১৭টি গণসংগঠনের যৌথ মঞ্চ বিপিএমও-র আয়োজনে হচ্ছে এই পদযাত্রা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

মুম্বই, দিল্লির পথ ভরিয়ে দেওয়ার পরে এ বার কৃষক ও শ্রমিকদের দাবি নিয়ে বাংলা জুড়ে পদযাত্রায় নামল বামেরা। গোটা রাজ্যে ২৪ দিনে প্রায় ৫০ হাজার কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করার পরিকল্পনা নিয়ে শুরু হল ‘অধিকার যাত্রা’। লোকসভা ভোটের আগে সংগঠনকে রাস্তায় রাখা এবং জনসংযোগই বাম নেতৃত্বের মূল লক্ষ্য। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পাশাপাশি রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধেও সরব হচ্ছে পদযাত্রা।

Advertisement

কোচবিহারের রাজবাড়ি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার সমাবেশ করে শুরু হয়েছে ‘অধিকার যাত্রা’। আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছেন কৃষক সভার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য হান্নান মোল্লা। মোট ১১৭টি গণসংগঠনের যৌথ মঞ্চ বিপিএমও-র আয়োজনে হচ্ছে এই পদযাত্রা। বিপিএমও-র আহ্বায়ক শ্যামল চক্রবর্তীও ছিলেন এ দিন পদযাত্রার সূচনায়। যাত্রাপথে একের পর এক বুথ-এলাকা ঘুরে বিডিও-কে দাবিপত্র দেওয়ার কর্মসূচি আছে। এলাকা ধরে ধরে স্থানীয় দাবিও যোগ করে নেবেন পদযাত্রাকারীরা। নানা জেলায় যেমন অসংখ্য ছোট পদযাত্রা চলবে, তেমনই কয়েকটি জায়গা থেকে হবে বড় পদযাত্রা। তার পরে কলকাতায় সমাবেশ হবে ৩ অক্টোবর।

কৃষক, শ্রমিকদের দাবি সামনে রাখার পাশপাশি রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূলের ‘প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতা’র প্রতিবাদও করছেন শ্যামলবাবুরা। এর আগে জাঠার কর্মসূচি নিয়েও রাজ্যের সর্বত্র পৌঁছতে পারেনি বামেরা। সেই সাংগঠনিক দুর্বলতা মেনে নিয়েই এ বার সব বুথে পৌঁছনোর জন্য একেবারে শাখা থেকে সর্বস্তরের কর্মীদের পদযাত্রায় যোগ দিতে বলেছে সিপিএম। রাজ্যে মেরুকরণের হাওয়া আরও তীব্র করার লক্ষ্যে ডিসেম্বর থেকে রথযাত্রায় বেরোবে বিজেপি। তার আগে বামেরা দেখাতে চাইছে, তাদের নজর মানুষের রুটি-রুজি এবং নিত্যদিনের দাবিতেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement