প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে আগেই পথে নেমেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এ বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডি-র উপরে চাপ বাড়াতে তাদের আঞ্চলিক দফতরের সামনে ঘেরাও-বিক্ষোভের ডাক দিল বামফ্রন্ট। দুর্নীতির গোটা চক্রকে ধরার দাবিতে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর বিধাননগরে সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে তাঁরা বিক্ষোভ-সভা করবেন বলে জানালেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।
বামফ্রন্টের বৈঠকে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি এবং দুর্নীতি, পাচার-সহ নানা মামলায় চলতি তদন্ত নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সারদা, নারদ-সব একাধিক ঘটনায় কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে যে নানা প্রশ্ন আছে, সেই প্রসঙ্গ আলোচনায় এসেছে। এমনকি, কেন্দ্রীয় শাসক দলের কর্মী-সমর্থকদের খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের পরিণতি নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন দিলীপ ঘোষের মতো বিজেপি নেতা। শিক্ষায় নিয়োগ-দুর্নীতি এবং অন্যান্য কেলেঙ্কারির তদন্ত গোটাকয়েক গ্রেফতার এবং তল্লাশির পরে সারদা, নারদ-কাণ্ডের মতোই যাতে ঝিমিয়ে না পড়ে, তার জন্য চাপ বাড়াতেই সিজিও কমপ্লেক্সে বিক্ষোভের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বামেরা। তার আগে কলকাতায় ২ সেপ্টেম্বর আছে বামেদের ছাত্র সমাবেশ এবং পরে ২০ সেপ্টেম্বর যুব সমাবেশ।
এরই পাশাপাশি গুজরাতে বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তদের সাজা কমিয়ে মুক্তি দেওয়ার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদও জানিয়েছে বামফ্রন্ট। বিমানবাবু বুধবার বিবৃতিতে বলেছেন, ‘স্বাধীনতা দিবসে এক দিকে যখন প্রধানমন্ত্রী মহিলাদের সম্মান নিয়ে বক্তৃতা করছেন, তখন অন্য দিকে গুজরাত সরকারের বদান্যতায় মুক্তি পায় বিলকিস বানোকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও তাঁর চোখের সামনে পরিবারকে খুন করার আসামিরা! পঞ্চমহলের জেলাশাসককে চেয়ারম্যান করে গুজরাত সরকারের এক কমিটি এই মুক্তির সুপারিশ করেছে’। বিজেপির এই মনোভাবের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন বিমানবাবু।
অন্য দিকে, সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারককে হুমকি-চিঠির ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডল যে সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন, তার প্রেক্ষিতে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী এ দিন বলেছেন, ‘‘উনি যেমন দাবি করেছেন, হতেই পারে সিবিআই তদন্ত। সেই সঙ্গে গত ১০-১১ বছরে বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের কত গাঁজা বা মাদক পাচারের কেস দেওয়া হয়েছে, সেটাও তদন্তের আওতায় আনা হোক! কত মাদক উদ্ধার হয়েছে, সে সব কোথায় রক্ষিত আছে, মামলাগুলো কোন পর্যায়ে আছে, সব বার করা হোক!’’