—ফাইল চিত্র।
লোকসভার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার ফুরসত পাননি রাজ্যের বাম-কংগ্রেস নেতারা। তার মধ্যেই এসে পড়েছে বিধানসভার উপনির্বাচন। রাজ্যের চারটি বিধানসভার উপনির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়া করেই লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য বামফ্রন্ট। শুক্রবার বামফ্রন্টের বৈঠক শেষে কংগ্রেসের জন্য রায়গঞ্জ আসন ছেড়ে রেখে বাকি তিনটি কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বামেরা।
কলকাতার মানিকতলা ও নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণে সিপিএম লড়াই করবে। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় লড়বে ফরওয়ার্ড ব্লক। মানিকতলায় প্রার্থী করা হয়েছে রাজীব মজুমদারকে। সিপিএম সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে এক জন চিকিৎসক ও এক জন আইনজীবীর কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলের কলকাতা জেলা কমিটির সদস্য রাজীবকেই প্রার্থী করা হয়েছে। রানাঘাট দক্ষিণে প্রার্থী করা হয়েছে তরুণ মুখ অরিন্দম বিশ্বাসকে। বাগদায় ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী করেছে গৌরাদিত্য বিশ্বাসকে। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলেই রায়গঞ্জ ছেড়ে রেখে তিন কেন্দ্রে বামফ্রন্টের প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে রায়গঞ্জ এবং রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী এবং মুকুটমণি অধিকারী। পরে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেন। লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণকে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে এবং মুকুটমণিকে রানাঘাট কেন্দ্রে প্রার্থী করে রাজ্যের শাসকদল। দু’জনেই বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন। ফলে এই দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। যদিও লোকসভা নির্বাচনে জিততে পারেননি দু’জনেই। বিধানসভা উপনির্বাচনে তাঁদের উপরেই ভরসা রেখেছে তৃণমূল। একই কারণে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। বিশ্বজিৎ লোকসভা ভোটে বনগাঁয় পরাস্ত হয়েছেন। তবে বাগদা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী করেছে রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুরকে। মানিকতলায় তৃণমূল প্রার্থী করেছে প্রয়াত নেতা সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডেকে।