কলকাতায় বামেদর মিছিল। নিজস্ব চিত্র।
ধর্মঘটের আগে রাস্তায় নেমে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিল বামেরা। কৃষক ও শ্রমিকদের প্রতিবাদকে হাতিয়ার করে ঘোষণা করে দেওয়া হল আরও পথে নামার কর্মসূচিও।মোদী সরকারের নানা ‘জনবিরোধী’ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামী ২৬ নভেম্বর সর্বভারতীয় ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতায় কৃষক সংগঠনগুলির প্রতিবাদ রয়েছে ২৬ ও ২৭ তারিখ। তার মধ্যে এ রাজ্যে ২৬ তারিখ গ্রামীণ ধর্মঘটেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। ধর্মঘটের দাবি-দাওয়া সামনে রেখেই মঙ্গলবার পার্ক সার্কাস থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলে যোগ দিয়েছিল বামফন্ট ও সহযোগী মিলে মোট ১৭ দল। মিছিলে ভিড় হয়েছিল চোখে পড়ার মতো। বাম নেতাদের বক্তব্য, মোদী সরকারের কার্যকলাপের প্রতিবাদেই মূলত এই ধর্মঘট। রাজ্য সরকার সেই ধর্মঘটে বাধা দিয়ে যেন মোদী সরকারের ‘ঢাল’ হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা না করে!
পার্ক সার্কাসে মিছিল শুরুর আগে এ দিন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের হুঁশিয়ারি, ‘‘কৃষিকে কর্পোরেটের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেচে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাংলায় এ কাজ করতে যাবেন না! এখানে কিন্তু কড়া প্রতিরোধ হবে, মানুষ আপনাদের বুঝিয়ে দেবেন!’’ ধর্মঘটের সমর্থনেই আগামী ১০ তারিখ কলকাতায় মশাল মিছিল করবে বাম যুব সংগঠনগুলি। ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র জানিয়েছেন, ওই কর্মসূচিতে তাঁরা যুব কংগ্রেস, ডিওয়াইও এবং আরওয়াইএল-কেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। একই ভাবে রাজ্য জুড়ে ২৩ তারিখ ‘যুব দিবসে’র কর্মসূচিতেও কংগ্রেস, এসইউসি এবং সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের যুব সংগঠনকে ডাকা হয়েছে।
চিঠি চালাচালি বন্ধ করে অবিলম্বে লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে কাল, বৃহস্পতিবার ও পরশু, শুক্রবার নানা স্টেশন-সহ জনবহুল জায়গায় বিক্ষোভ-অবস্থানের ডাক দিয়েছে ডিওয়াইএফআই। আবার ওই দু’দিনই কর্মসূচি নিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসও। বিধান ভবনের সামনে ‘মহিলা ও দলিত উৎপীড়ন-বিরোধী দিবস’ পালনের ধর্নায় কাল থাকার কথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। পর দিন, শুক্রবার শহরে কংগ্রেসের ট্রাক্টর মিছিল কৃষি আইনের প্রতিবাদে।