গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
রাজ্যের বেহাল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাছে ফের রিপোর্ট চাইল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। লোকসভা ভোটের দিনঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে একের পর এক রাজনৈতিক হিংসার ঘটনার তদন্তে ও সেই সব বন্ধ করতে মমতা সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, অবিলম্বে তা জানাতে বলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ২০১৬ থেকে ২০১৯, এই চার বছরে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক ও ভোটকেন্দ্রিক হিংসার ঘটনার উল্লেখযোগ্য সংখ্যাবৃদ্ধিতেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পাঠানো 'অ্যাডভাইসরি'তে।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন রিপোর্টের উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ওই 'অ্যাডভাইসরি'তে বলা হয়েছে, রাজ্যে ২০১৬ সালে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল যেখানে ৫০৯টি, সেখানে তা গত বছরে একলাফে প্রায় চার গুণ বেড়ে গিয়েছে। ঘটনার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৫টি। শুধু তাই নয়, এ বছরে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে ৭৭৩টি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এও জানিয়েছে, রাজনৈতিক হিংসায় রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যাও গত চার বছরে বেড়ে গিয়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়েছিলেন ৩৬ জন। দু'বছরের মধ্যে সেই সংখ্যাটা প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। ২০১৮-য় রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসায় মৃত্যু হয়েছে ৯৬ জনের। আর এই বছর ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক হিংসায় রাজ্যে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগেও, অমিত শাহ দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির হাল ফে্রাতে রাজ্যকে পরামর্শ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
আরও পড়ুন- আহত পরিবহকে দেখতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও মত পাল্টালেন মমতা! যাবেন চন্দ্রিমা ও স্বাস্থ্যসচিব
আরও পড়ুন- নবান্নে যাব না, মুখ্যমন্ত্রী এখানে আসুন, বৈঠক শেষে জানিয়ে দিলেন অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের 'অ্যাডভাইসরি'তে বলা হয়েছে, "উপরের পরিসংখ্যানই দেখিয়ে দিচ্ছে, ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত রাজনৈতিক হিংসা কী ভাবে বেড়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। আর তা রুখতে রাজ্য সরকার কতটা ব্যর্থ হয়েছে। দেখিয়ে দিচ্ছে, রাজ্যে আইনের শাসন কায়েম করতে ও মানুষের নিরাপত্তা দিতে রাজ্য সরকার কতটা ব্যর্থ হয়েছে। ভারত সরকার বিষয়টি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। ওই সব ঘটনার তদন্তে ও তা রুখতে রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ করছে, তা সবিস্তারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানাতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।"