মোটরবাইক মিছিল করা যাবে না। —ফাইল চিত্র।
রামনবমীর শোভাযাত্রায় মোটরবাইক মিছিল করা যাবে না। কেউ ওই নিয়ম অমান্য করে মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ আইননানুগ ব্যবস্থা নেবে। একই সঙ্গে শোভাযাত্রায় কোনও ডিজে বাজানো যাবে না বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
লালবাজার সূত্রের খবর, কলকাতার নগরপালের এই নির্দেশ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে থানাগুলিকে। আদালতের রায়ের কথা উল্লেখ করে আগেই পুলিশ জানিয়েছিল, মিছিলে অস্ত্রের প্রদর্শন করা যাবে না। তা অমান্য করলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। রামনবমীর মিছিলের উদ্যোক্তাদের কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশিকা মনে করিয়ে দেওয়ার কথা থানাগুলিকে বলেছিল লালবাজার। সূত্রের খবর, থানার আধিকারিকদের সঙ্গে মিছিলের উদ্যোক্তারা যোগাযোগ করেননি। ফলে একাধিক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে মিছিলের উদ্যোক্তাদের বৈঠকই হয়নি।
পুলিশের এক কর্তা জানান, সব রকমের পরিস্থিতি সামলাতে প্রস্তুত আছে বাহিনী। যে পথে মিছিল যাবে, সেখানে পুলিশ পিকেট করা হয়েছে। ওই দু’দিন স্থানীয় থানাকেও সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। রবিবার শহরে ৬০-এর বেশি রামনবমীর মিছিল বেরোনোর কথা। পুলিশ জানিয়েছে, এর মধ্যে বড় মিছিল হওয়ার কথা কাশীপুরে দু’টি, বড়বাজার, এন্টালি থেকে ক্রিস্টোফার রোড, খিদিরপুর এবং পিকনিক গার্ডেনে একটি করে মোট ছ’টি। ওই দিনের মিছিলে অংশ নেওয়ার কথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
লালবাজার জানিয়েছে, ওই দিন শহরের রাস্তায় বেলা ১২টা থেকে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে জরুরি পরিষেবার পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে বাধা থাকছে না।
পুলিশকর্তারা জানিয়েছেন, মিছিলের পুরো পথ ক্যামেরায় মুড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে থানাগুলিকে। প্রয়োজনে ক্যামেরা ভাড়া করতে হবে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত বিভিন্ন থানা সেই কাজ করেছে। মিছিলের সঙ্গে একাধিক ভিডিয়োগ্রাফার রাখা হচ্ছে। যাতে পুরো মিছিলের উপরে নজরদারি চালানো যায়। কলকাতা পুলিশের ন’টি ড্রোন রয়েছে। আকাশপথে নজরদারি চালাতে ওই দিনের জন্য ড্রোন ভাড়া করছে থানাগুলি। পাশাপাশি, পুলিশকে বডি ক্যামেরা ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
মিছিলের পথে থাকা বহুতলগুলির ছাদেও নজরদারি চালাবে পুলিশ। কারণ, ছাদ থেকে ইট ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। মিছিলের পথে যাতে ইট বা পাথরকুচি পড়ে না থাকে, তা-ও থানাকে দেখতে বলেছে লালবাজার।