আলোকিত: বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট উপলক্ষে সেজে উঠেছে নিউ টাউন। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
নীতীন গডকড়ী আসছেন না। অরুণ জেটলি আসছেন না। আসছেন না সুরেশ প্রভুও।
রাজনীতির টানাপড়েনে কেন্দ্রের কেউ না এলেও রাজ্য সরকারের শিল্প সম্মেলনে লক্ষ্মী মিত্তল, মুকেশ অম্বানীর মতো প্রথম সারির শিল্পপতিরা নিজেদের কথা রেখে আসছেন বলেই নবান্ন সূত্রে দাবি।
আজ, মঙ্গলবার থেকে নিউ টাউনের ‘বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টার’-এ শুরু হচ্ছে ‘বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট’ (বিজিবিএস-’১৮)। ২০১৫ সালের বিজিবিএস-এ এসেছিলেন জেটলি ও গডকড়ী। পরের বার তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সুরেশ প্রভু এবং পীযূষ গয়াল। গত বছর কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী না এলেও ছিলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।
এ বার, জেটলি, গডকড়ী এবং প্রভু— তিন জনকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। গডকড়ী আসবেন বলে কথাও দিয়েছিলেন। কিন্তু গত শুক্রবার বিজেপির বাইক মিছিল ঘিরে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে সফর বাতিল করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: দিল মাঙ্গে মোর, বার্তা মমতার
নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা এ দিন বলেন, ‘‘কেউ বলতে পারবেন না আমরা আমন্ত্রণ জানাইনি। তাঁরা না এলে তাঁদের ব্যাপার। আমাদের কাজই কথা বলবে। ই-গভর্ন্যান্স, ইজ-অব-ডুয়িং বিজনেস, কৃষি কর্মণ, ১০০ দিনের কাজের স্বীকৃতির পুরস্কার কেন্দ্রই তো আমাদের দিয়েছে।’’
কেন্দ্র-রাজ্য রাজনৈতিক বিরোধ যাই থাক, দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশ থেকেও শিল্প-কর্তারা উড়ে আসছেন ‘বিজিবিএস-এ। সম্প্রতি কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রীকে বিজিবিএসে আসার আশ্বাস দেন লক্ষ্মী মিত্তল। সরকারি সূত্রের খবর, মুকেশও আসছেন। এ ছাড়া, আদি গোদরেজ, মোহনদাস পাই, টি ভি নরেন্দ্রন, কিশোর বিয়ানি, পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, প্রসূন মুখোপাধ্যায়দের পাশাপাশি সঞ্জীব গোয়েন্কা, হর্ষ নেওটিয়া, সঞ্জীব পুরীরও থাকার কথা। সোমবার রাতে ইকো পার্কে নৈশ ভোজে আমন্ত্রিত শিল্পকর্তাদের এ বারও মুখ্যমন্ত্রী নিজে অভ্যর্থনা জানান। সেখানে সজ্জন জিন্দল, পার্থ জিন্দল, স্পাইস জেটের অজয় সিংহ ছাড়াও ছিলেন, আদানি গোষ্ঠীর পাঁচ কর্তা।
এ বার সম্মেলনে ন’টি সহযোগী দেশ-সহ অন্তত ৩০টি দেশ যোগ দিচ্ছে। কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা আগেই রাজ্যে পা রেখে স্থানীয় শিল্পমহলের সঙ্গে এক প্রস্ত আলাপ সেরেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এ বার বিজিবিএস-এ সেই সব ক্ষেত্রই তুলে ধরা হবে, যেখানে বিনিয়োগ টানতে রাজ্য প্রস্তুত। তার জন্য তৈরি হচ্ছে বিশেষ নীতি। রয়েছে পাঁচটি ‘ফোকাস সেক্টর’— শিল্প পরিকাঠামো, উৎপাদনমুখী ক্লাস্টার, নগরোন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তি ও পরিষেবা এবং পরিবহণ। বাংলা মানেই ব্যবসা, এই স্লোগান সামনে রেখে লগ্নি টানতে ঝাঁপাচ্ছে সদ্য ইজ-অব-ডুয়িং-বিজনেস’-এ শীর্ষ স্থান পাওয়া রাজ্য।