Narada Scam

Narada: নারদ-কাণ্ডে ববির মন্তব্যে ‘নীরব’ তৃণমূল, ‘উনিই ব্যাখ্যা দিন’, বলে দিলেন কুণাল

নারদ মামলায় শুভেন্দুর একটি মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শুক্রবার কিছু মন্তব্য করেছিলেন ফিরহাদ। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে আলোচনা এবং জল্পনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২২ ১৮:৩৪
Share:

ফিরহাদের মন্তব্যে তৃণমূলে ‘অস্বস্তি’। ফাইল চিত্র।

রাজ্যের দাপুটে মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য থেকে দূরত্ব রচনা করল তাঁর দল তৃণমূল। ওই বিষয়ে ফিরহাদের করা একটি মন্তব্যকে তাঁর দল সমর্থন করে না বলে প্রকারান্তরে জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

Advertisement

শুভেন্দু বলেছিলেন, নারদ মামলায় ‘চক্রান্ত’ হয়েছে। বিরোধী দলনেতা এবং প্রাক্তন দলীয় সতীর্থের সেই মন্তব্যকে মান্যতা দিয়েছিলেন ফিরহাদ। যে মামলায় শুভেন্দু এবং ফিরহাদ— দু’জনেই অভিযুক্ত। প্রাক্তন তৃণমূল এবং অধুনা বিজেপি নেতা শুভেন্দুকে সারদা এবং নারদ মামলা নিয়ে নিরন্তর রাজনৈতিক আক্রমণ করছে শাসক তৃণমূল। ওই মামলায় ফিরহাদ-সহ আরও তিন জন জেলে গিয়েছিলেন। সেই সাপেক্ষে ফিরহাদ যদি বলেন, শুভেন্দুর ‘চক্রান্ত’-এর তত্ত্ব সত্যি, তা হলে তিনি শুভেন্দুর বিরুদ্ধেও ‘চক্রান্ত’ হয়েছিল বলেই মেনে নিচ্ছেন। কারণ, ফিরহাদ শুক্রবার ওই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘‘নারদ মামলায় আদতে কী হয়েছিল, তা বিরোধী দলনেতাই বলে দিয়েছেন।’’

প্রত্যাশিত ভাবেই মন্তব্যটি নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে। যা এই ‘সঙ্কটসময়ে’ শাসক শিবিরের ‘অস্বস্তি’ বাড়িয়েছে। শনিবার দলের মুখপাত্র কুণালকে ওই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রকারান্তরে বলেই দিয়েছেন, তৃণমূল ওই মন্তব্যকে সমর্থন করে না। প্রসঙ্গত, এর আগেও ‘কালী বিতর্কে’ দলের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মন্তব্যের সঙ্গে দূরত্ব রচনা করেছিল তৃণমূল। টুইট করে বলা হয়েছিল, মা কালী প্রসঙ্গে মহুয়ার মন্তব্যকে দল সমর্থন করে না।

Advertisement

ফিরহাদের মন্তব্য প্রসঙ্গে শনিবার কুণাল বলেন, ‘‘যিনি বলেছেন তিনিই এর ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। এ বিষয়ে দল কোনও মন্তব্য করবে না।’’ কুণালের মন্তব্যে স্পষ্ট, ফিরহাদের বক্তব্যের ‘দায়’ দল নিতে চাইছে না।

২০১৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে নারদের গোপন ক্যামেরা অভিযানের একটি ভিডিয়োতে তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনেছিল বিরোধীপক্ষ। এর পর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নানা দিকে মোড় নিয়েছে নারদ মামলার তদন্ত। গত বছর ওই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রাক্তন মন্ত্রী এবং অধুনাপ্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে। পরে অবশ্য সকলেই জামিন পান।

অধুনা যখন শিক্ষা-সহ একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে তপ্ত রাজ্য রাজনীতির আঙিনা, তখন নারদ প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অভিযোগ করেন, এক সাংসদকে কাজে লাগিয়ে এক নেতা এই চক্রান্ত করেছিলেন। তিনি এ-ও বলেন, ‘‘এটি চক্রান্ত, অপরাধ নয়।’’

তাদের দলের নেতা-মন্ত্রীদের ‘চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে’ বলে নারদ মামলায় বার বার অভিযোগ করেছে তৃণমূল। শুভেন্দুও সেই ‘চক্রান্তের তত্ত্ব’-ই খাড়া করেছেন। বিরোধী দলনেতার ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্ত মন্ত্রী ফিরহাদ বলেছিলেন, ‘‘ওই কেসে কী হয়েছিল, তা বিরোধী দলনেতা বলে দিয়েছেন।’’

পরে ওই প্রসঙ্গে অবশ্য ফিরহাদ বলেছেন, ‘‘চক্রান্ত হয়েছে তা আমিও বলছি। কিন্তু শুভেন্দু যে নেতার নাম করে আঙুল তুলেছেন, তিনি কোনও ভাবে এর সঙ্গে জড়িত বলে বিশ্বাস করি না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement