—ফাইল চিত্র
জেল থেকে বেরলেন কুণাল ঘোষ। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি দেয় তাঁকে। কিন্তু জামিনের নথিপত্র সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে ছিল মুক্তি। অবশেষে শুক্রবার সকালে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে বেরতে পারলেন তিনি।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার পরে কুণাল ঘোষ প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পান। তাঁর বন্ধু-বান্ধব এবং ঘনিষ্ঠ বৃত্তের অনেকেই জেলের গেটে পৌঁছেছিলেন তাঁকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য। জেল থেকে বেরিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘কঠিন সময়ে যে বন্ধুরা পাশে ছিলেন, তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আজ মহাষষ্ঠী। আমি বাড়ি ফিরে আমার মাকে দেখতে পাব এবং জগজ্জননী মাকে দেখতে পাব, এটা ভেবেই আমার খুব ভাল লাগছে।’’ জেল কর্তৃপক্ষকে এবং প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের অন্য আবাসিকদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি।
সারদা কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত কুণাল ঘোষকে ২০১৩ সালের ২৩ নভেম্বর গ্রেফতার করে বিধাননগর কমিশনারেট। ২০১৪ সালে তাঁকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। কিন্তু যে মামলায় তাঁর বিচার চলছে, তাতে তাঁর সর্বোচ্চ ৩ বছরের সাজা হতে পারে। তাই আইন অনুযায়ী বিচারাধীন অবস্থায় তাঁকে দেড় বছরের বেশি আটকে রাখা যায় না। রাজ্যসভার এই সদস্য অবশ্য ইতিমধ্যেই দু’বছরেরও বেশি সময় জেলে কাটিয়ে ফেলেছেন।
আরও পড়ুন: চোখ ছলছল মায়ের, আলোর শিশু ছিটকে যায় কোল থেকে
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গত বুধবার কুণাল ঘোষের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু রায় বিকেলের দিকে ঘোষিত হওয়ায়, সে দিন আর তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার সময় ছিল না। বৃহস্পতিবার তিনি মুক্তি পাবেন বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু জামিনের নির্দেশ সংক্রান্ত নথি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যেও জেলে পৌঁছয়নি। ফলে সে দিনও তাঁর মুক্তি হয়নি। শুক্রবার সকালে তিনি ছাড়া পেয়েছেন। বাড়ি ফিরে এ দিন তিনি নিজের পাড়ার পুজো মণ্ডপে অর্থাৎ রামমোহন সম্মিলনীর মণ্ডপে যান। হাইকোর্টের নির্দেশে কুণাল ঘোষের গতিবিধির উপরে বিধিনিষেধ রয়েছে। যে থানা এলাকায় তাঁর বাড়ি, সেই নারকেলডাঙা থানা এলাকার বাইরে তিনি আপাতত যেতে পারবেন না। সপ্তাহে এক দিন করে তাঁকে সিবিআই দফতরে হাজিরাও দিতে হবে।