মাতৃরূপে: বেলুড় মঠে কুমারী পুজো। বুধবার, মহাষ্টমীর সকালে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
প্রতি বছরের মতো এ বারেও মহাষ্টমীতে সাড়ম্বরে কুমারী পুজো হল বেলুড় মঠে। ‘সুভাগা’ রূপে পুজো করা হল হাওড়া বটানিক্যাল গার্ডেন এলাকার বাসিন্দা সৈকত মুখোপাধ্যায় ও মৌমিতা মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে সলভিয়া মুখোপাধ্যায়কে। পাঁচ বছর ন’মাস ২৪ দিন বয়সের সলভিয়া আপার নার্সারির ছাত্রী।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সন্ন্যাসী স্বামী শুভকরানন্দ জানান, বেলুড় মঠে দুর্গাপুজো শুরু করেন স্বামী বিবেকানন্দ। শ্রীশ্রীসারদা দেবীর নামে দুর্গাপুজোর সঙ্কল্প করা হয়েছিল। সেই প্রথা আজও চলছে। সূচনা বর্ষেই ন’জন কুমারীকে একসঙ্গে পুজো করা হয়। তাদের মধ্যে এক জনকে স্বামী বিবেকানন্দ নিজের হাতে পুজো করেছিলেন। প্রথা মেনে প্রতি বছর মহাষ্টমীতে বেলুড় মঠের মূল মন্দিরে আত্মারামের কৌটো বার করে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেবের মহাস্নান করানো হয়। এ বারেও হয়েছে।
বুধবার সকাল ৯টায় বেলুড় মঠের মূল মন্দিরের পাশে পুজোর মণ্ডপে শুরু হয় কুমারী পুজো। প্রবীণ সন্ন্যাসীদের পাশাপাশি সেখানে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রেসিডেন্ট স্বামী স্মরণানন্দ। পরে কয়েক হাজার দর্শনার্থীর মধ্যে ভোগপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।