পাশাপাশি দু’টি লিফটের মাঝখানে দাঁড়িয়ে রঙের কাজ করছিলেন এক ব্যক্তি। আচমকাই তারের জাল ছিঁড়ে তিনি পড়ে গেলেন নীচে দাঁড়িয়ে থাকা লিফট ও দেওয়ালের মাঝখানে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, সেখানেই পিষে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে হিমসিম খেতে হয় দমকলকর্মীদের। শেষে প্রায় তিন ঘণ্টা পরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বি বা দী বাগ এলাকার একটি বহুতলে। মৃতের নাম স্বপন দাস (৪৫)। বাড়ি ই এম বাইপাস সংলগ্ন হাটগাছিয়ায়।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ ও দমকল জানিয়েছে, ওই বহুতলে পাশাপাশি দু’টি লিফট রয়েছে। এ দিন স্বপনবাবু ও তাঁর সহযোগী মদন দাস ওই বহুতলে লিফটে রঙের কাজ করছিলেন। স্বপনবাবু তিন তলায় দু’টি লিফ্টের মাঝখানে তারজালির উপরে দাঁড়িয়ে কাজ করছিলেন। তখন দোতলায় একটি লিফ্ট দাঁড়িয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। স্বপনবাবু কোনও ভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নীচে থাকা লিফট ও দেওয়ালের মাঝখানে পড়ে যান।
সহযোগী মদনবাবু চিৎকার শুরু করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও দমকল হাজির হয়। লিফটের তার স্বপনবাবুর গলায় ও পুরো শরীরে জড়িয়ে থাকায় তাঁকে উদ্ধার করতে প্রথম দিকে অসুবিধা হচ্ছিল দমকলকর্মীদের। পরে লিফ্টের ছাদে উঠে তাঁর কোমরে ও হাতে দড়ি বেঁধে লিফটের দরজা ও দেওয়ালের অংশের মাঝে লোহার রড ঢুকিয়ে উপরে কিছুটা ফাঁকা করে প্রায় পৌনে ২টো নাগাদ দেহটি উদ্ধার করা হয়। দমকলের আধিকারিক অশোককুমার বিশ্বাস বলেন, “ওই ব্যক্তিকে লিফটের মধ্যে আটকে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল।” তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন, লিফট না চললেও কী ভাবে ওই ব্যক্তির দেহ পিষে গেল, তার তদন্ত শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে আরও বেশ কিছু কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে। এ দিন রাত পর্যন্ত মৃতের পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ জানানো না হলেও পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।