তিন মহিলার কাছ থেকে শনিবার সকালেই উদ্ধার হয়েছিল সোনা। টাকা রাখার ছোট ব্যাগে এবং নিজেদের গোপনাঙ্গে লুকিয়ে ব্যাঙ্কক থেকে প্রায় দেড় কিলোগ্রামেরও বেশি সোনা নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। ওই রাতেই ধরা পড়েন আরও সাত জন ব্যক্তি। তাঁদের থেকে পাওয়া গিয়েছে সাড়ে পাঁচ কিলোগ্রামেরও বেশি সোনা। দাম ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকারও বেশি।
তিন মহিলার কারও কাছেই অবশ্য ২০ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের সোনা ছিল না। শুল্ক দফতরের নিয়ম অনুযায়ী, ২০ লক্ষ টাকার কম মূল্যের সোনা থাকলে যাত্রীকে গ্রেফতার করা হয় না। ফলে সোনা বাজেয়াপ্ত করে দিল্লির বাসিন্দা ওই তিন মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, শনিবার সাত জনের প্রত্যেকের কাছে আলাদা করে ২০ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের সোনা পাওয়া গিয়েছে। সকলকেই গ্রেফতার করেছে শুল্ক দফতর।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, শনিবার ব্যাঙ্কক থেকে জেট-এর বিমান কলকাতায় নামার কিছু পরে শুল্ক অফিসারেরা লক্ষ্য করেন, বয়স্ক এক যাত্রী একটু যেন তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁর মুখ-চোখ দেখে মনে হয়, তিনি অসুস্থ বা শরীরে অস্বস্তি রয়েছে।
এক শুল্ক অফিসারের কথায়, “অত্যধিক মদ্যপানে যেমন চোখ ঘোলাটে হয়ে যায়, শরীরে অস্বস্তি দেখা দেয়, আমাদের সে রকমই মনে হচ্ছিল।” সন্দেহ হয় অফিসারদের। ওই যাত্রীকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে পড়ে আসল তথ্য। পায়ুদ্বারে লুকিয়ে সোনা নিয়ে এসেছেন তিনি।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, শুধু তিনি নন, দলে যে সাত জন রয়েছেন, সবার পায়ুদ্বারেই সোনা লুকোনো। প্রধানত পঞ্জাব, হরিয়ানা ও দিল্লির বাসিন্দা ওই ব্যক্তিদের কাছ থেকে মোট ৪৪টি সোনার টুকরো পান শুল্ক অফিসারেরা। ওই তিন মহিলার কাছ থেকে পাওয়া সোনা মিলিয়ে শনিবার শুল্ক দফতর সাত কিলোগ্রাম সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে। যার বাজারদর ২ কোটি টাকারও বেশি।