তৃণমূল বোর্ড গত ৫ বছরে কেওড়াতলা শ্মশানে গোটা কয়েক অনুষ্ঠান করেছে। কিন্তু ডাক পড়েনি স্থানীয় কাউন্সিলর মালা রায়ের। মঙ্গলবার সেখানেই দূষণমুক্ত দু’টি কাঠের চুল্লির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এত দিনের ‘ব্রাত্য’ মালা রায়ের প্রশংসায় সামিল হলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
তৃণমূল বোর্ড গত ৫ বছরে কেওড়াতলা শ্মশানে গোটা কয়েক অনুষ্ঠান করেছে। কিন্তু ডাক পড়েনি স্থানীয় কাউন্সিলর মালা রায়ের। মঙ্গলবার সেখানেই দূষণমুক্ত দু’টি কাঠের চুল্লির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এত দিনের ‘ব্রাত্য’ মালা রায়ের প্রশংসায় সামিল হলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। আসলে মালা রায় কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে ফিরে আসতেই এত ‘স্তুতি’ বলে মত দলেরই কিছু কাউন্সিলরের। যদিও অনুষ্ঠানে সংবাদ মাধ্যমের উপস্থিতি নিয়ে মেয়রের কটাক্ষ “সংবাদ মাধ্যম এখানে অনুষ্ঠানের জন্য আসেনি। মালা রায়ের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের আগের ও পরের ব্যবহারের ফারাক দেখতেই ভিড় করেছেন।”
অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর। দফতরের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষের সঙ্গে ৫ বছর ধরে পুর অধিবেশনগুলিতে রীতিমতো টক্কর হয়েছে মালাদেবীর। এ দিন সেই অতীন ঘোষের সামনেই ফিরহাদ হাকিম বলেন, “পাশের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে মালাদির ওয়ার্ডের অনেক কিছু নকল করেছি। তিনি ওয়ার্ডকে ভাল সাজিয়েছেন। কেওড়াতলা শ্মশানটাকে চোখের মণির মতো রক্ষা করেন।” তাঁর দল বদলের প্রসঙ্গ তুলে ফিরহাদ বলেন, “একসময় আমাদের সঙ্গেই ছিলেন। কিছুদিন বাইরে থাকলেও ঘরের দিদি ঘরে ফিরে এলেন।”
শোভন বলেন, “মালাদেবীকে দিয়ে মমতাদি এলাকায় বহু কাজ করিয়েছেন। বিরোধী হয়েও তিনি উন্নয়নের কাজ করেছেন।” অনুষ্ঠানে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও। মন্ত্রী-মেয়র প্রশংসা করলেও স্থানীয় বিধায়ক শ্মশানের উন্নয়নের বাইরে কিছু বলেননি।