বকখালির সমুদ্রে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যাওয়া কলকাতার দুই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে বালিয়াড়া এলাকায় ফৈজল খান (১৮) ও অভিষেক ধানুক (১৭) নামে ওই দুই পড়ুয়ার দেহ পাওয়া যায়। মৃতদের বাড়ি মোমিনপুর এলাকায়। দু’জনেই ভবানীপুরের খালসা হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
শুক্রবার কলকাতার একবালপুর এলাকার এক কোচিং সেন্টারের ৩৫ জন পড়ুয়ার একটি দল বকখালিতে বেড়াতে যায়। দলের নেতৃত্বে ছিলেন শিক্ষক দীপক বাল্মীকি। ওই দিন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ দীপকবাবু-সহ পাঁচ ছাত্র সমুদ্রে স্নান করতে নামে। সে সময়ে ভাটা থাকায় জল নেমে গিয়েছিল। সমুদ্রতট থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার গভীরে গিয়ে স্নান করছিল তাঁরা।
ইতিমধ্যে সমুদ্রে জোয়ার শুরু হয়ে যায়। সৈকতে ফেরার মুখে ঢেউয়ের তোড়ে তলিয়ে যান দীপকবাবু, অভিষেক, ফৈজল ও চন্দন নামে আর এক ছাত্র। অন্যদের মধ্যে ইমরান ও সুভাষ নামে দুই পড়ুয়াকে স্থানীয়েরা তখনই উদ্ধার করেছিলেন। রাত ন’টা নাগাদ দীপকবাবুর দেহ উদ্ধার হলেও বাকি তিন ছাত্র নিখোঁজ ছিল।
রবিবার পুলিশ দু’টি দেহ উদ্ধার করার পরে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। দেহ দু’টি ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এখনও হদিস মেলেনি চন্দন নামে আর এক পড়ুয়ার।