বসিরহাটের পরে রাজস্ব গোয়েন্দাদের নিশানায় এ বার খাস কলকাতার বড়বাজারও! বসিরহাটে ৪৪ কিলোগ্রাম সোনা মিলল তো বড়বাজারে ৪১ কিলোগ্রাম। এবং সোনা আটকের দু’টি ঘটনার মধ্যে যোগাযোগও বেশ ঘনিষ্ঠ বলে গোয়েন্দাদের দাবি। তাঁরা জানাচ্ছেন, বসিরহাটে সোনা-সহ ধৃত এক ব্যবসায়ীকে জেরা করেই অবৈধ সোনার হদিস মেলে বড়বাজারে।
বুধবার গভীর রাতে বড়বাজার এলাকায় হানা দিয়ে ৪১ কিলোগ্রাম সোনার বিস্কুট-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই) বা রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ। গোয়েন্দারা জানান, ধৃতদের নাম মহম্মদ হুসেন, মারুতিভীম রাও, চেতন পালগোটা ও ইয়াসিন আমির পাঠান। হুসেন কলকাতারই বাসিন্দা। বাকি তিন জন মুম্বইয়ের। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ওই তিন জন আন্তঃরাজ্য সোনা পাচার চক্রের সদস্য। হুসেনের কাছ থেকে বেআইনি সোনা নিতেই তারা কলকাতায় এসেছিল।
গত শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট-দেগঙ্গা থেকে প্রচুর সোনা-সহ আব্দুল বারিক বিশ্বাস নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেন রাজস্ব গোয়েন্দারা। তাঁরা জানান, ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৪৪ কিলোগ্রামেরও বেশি সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয় তাঁর গাড়ির চালক মোকশেদ মোল্লাকেও।
ডিআরআই-এর দাবি, বারিককে জেরা করে পাওয়া সূত্র ধরে সোনা পাচারের কিছু তথ্য মিলেছিল। তার ভিত্তিতেই বড়বাজারের একটি প্লাস্টিকের কারখানায় হানা দেওয়া হয়। সেখানেই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান বারিক এবং তাঁর গাড়িচালক।
সম্প্রতি কলকাতা বিমানবন্দরে বিমান থেকে প্রচুর সোনা আটক করা হয়েছিল। তার পর থেকে আকাশপথে নজরদারির কড়াকড়ি বেড়েছে। তাই চোরাকারবারিরা সড়কপথে সোনা পাচার বাড়িয়ে দিয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রের বক্তব্য, বুধবার রাতে যে-সব বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তা বাংলাদেশ থেকে শহরে ঢুকেছিল। এখান থেকে সড়ক বা রেলপথে তা মুম্বই এবং দেশের অন্যান্য শহরে চালান করা হতো বলেই মনে করা হচ্ছে।
বড়বাজার থেকে ধৃত চার জনকে বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের ১৪ দিনের জন্য জেল-হাজতে পাঠান।