ব্যাঙ্ক-কর্মচারী পরিচয়ে লক্ষাধিক টাকা ‘প্রতারণা’, গ্রেফতার যুবক

নামী বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে অনলাইনে বিয়ের বিজ্ঞাপন দিয়েছিল এক ব্যক্তি। সেই সূত্রেই তার আলাপ এক মহিলার সঙ্গে। এর পরে নানা ছুতোয় মহিলার থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয় সে। কিন্তু নামী ব্যাঙ্কের কর্মচারী বার বার টাকা চাওয়ায় সন্দেহ হয় ওই মহিলার। এর পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তার পরেই জানা যায় প্রতারকের কর্মকাণ্ড।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:০১
Share:

নামী বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে অনলাইনে বিয়ের বিজ্ঞাপন দিয়েছিল এক ব্যক্তি। সেই সূত্রেই তার আলাপ এক মহিলার সঙ্গে। এর পরে নানা ছুতোয় মহিলার থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয় সে। কিন্তু নামী ব্যাঙ্কের কর্মচারী বার বার টাকা চাওয়ায় সন্দেহ হয় ওই মহিলার। এর পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তার পরেই জানা যায় প্রতারকের কর্মকাণ্ড।

Advertisement

ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতে দমদমের মল রোড থেকে মেঘনাদ ওরফে ইন্দ্রজিত্‌ সিংহ (৩৭) ওরফে জিত্‌ নামে ওই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার আদালত তাকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজত দেয়। গোয়েন্দা প্রধান কঙ্করপ্রসাদ বারুই জানিয়েছেন, আরও অনেকেই ইন্দ্রজিতের প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে তদন্তে উঠে আসছে। সে সবও খতিয়ে দেখা হবে।

পুলিশ জানায়, ইন্দ্রজিতের আসল বাড়ি বালিতে। পরে সে মল রোডের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতে শুরু করে। সে বিবাহিত। বছর নয়েকের একটি ছেলে রয়েছে তার। মল রোডের বাড়িতে অবশ্য ধৃতের স্ত্রী থাকেন না। পুলিশ জানায়, ইন্দ্রজিত্‌ একটি নামী বেসরকারি ব্যাঙ্কে কাজ করত। কয়েক বছর আগে ১৫ কোটি টাকার একটি ঋণ নিয়ে সেখানে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইন্দ্রজিতের চাকরি যায়। পুলিশ জেনেছে, এর পরেই সে অনলাইনে নিজের বিয়ের বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করে। বিজ্ঞাপনে সে নিজেকে পরিচয় দেয় ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মচারী হিসেবে।

Advertisement

তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ইন্দ্রজিতের ডাকনাম জিত্‌। ফেসবুকে সে নিজের নাম দেখিয়েছিল মেঘনাদ। অনলাইনে বিজ্ঞাপনের সূত্রেই বিধাননগরবাসী চাকুরিরতা এক মহিলার সঙ্গে তার যোগাযোগ। ইন্দ্রজিত্‌ মহিলাকে জানায়, তার ডিভোর্সের মামলা চলছে। মামলা মিটে গেলেই সে বিয়ে করবে।

মহিলার অভিযোগ, মেলামেশা বাড়ার পরে কখনও ছেলের অসুস্থতা, কখনও মোটরবাইক সারানোর নামে তাঁর কাছ থেকে ইন্দ্রজিত্‌ টাকা নিতে শুরু করে। মহিলা তিন বার চেকে ও এক বার নগদে মোট ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু ইন্দ্রজিত্‌ বার বার টাকা চাওয়ায় মহিলার সন্দেহ বাড়ে। এর পরে ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কে খোঁজ নিয়ে মহিলা জানতে পারেন, সেখান থেকে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত হয়েছেন ইন্দ্রজিত্‌।

পুলিশ জানিয়েছে, এর পরে মহিলা টাকা ফেরত চাইলে ইন্দ্রজিত্‌ তাঁকে একটি ব্ল্যাঙ্ক চেক দেয়। যা বাউন্স করে। তার পরেই মহিলা বিধাননগর দক্ষিণ থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, রোজগার বাড়ানোর জন্যই ইন্দ্রজিত্‌ এই কৌশল নিয়েছিল। মূলত চাকুরিরতা মহিলাদের সঙ্গেই তার যোগাযোগ ছিল বেশি। তদন্তকারীদের অনুমান, বেশ কয়েক জন মহিলাকে প্রতারিত করেছে ইন্দ্রজিত্‌। সে বিষয়েও সবিস্তার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement