তিরিশ জন যাত্রীর হাত ব্যাগের ওজন বেশি হয়ে গিয়েছিল। আর তার জেরে ভুগতে হল বিমানের দু’শো জন যাত্রীকে। কলকাতা বিমানবন্দরে কনভেয়র বেল্টের সামনে এক ঘণ্টা অপেক্ষার পরে যাত্রীরা জানতে পারেন, তাঁরা কলকাতা পৌঁছলেও ব্যাগ রয়ে গিয়েছে ব্যাঙ্ককে! মঙ্গলবার তাই এয়ারওয়েজের বিমানে ব্যাঙ্কক থেকে এসে এমনই সমস্যায় পড়লেন যাত্রীরা।
বন্ধুদের সঙ্গে ব্যাঙ্কক বেড়াতে গিয়েছিলেন সল্টলেকের বাসিন্দা শৈলেশ নন্দা। এ দিন তাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৩৫ বিমানে কলকাতা ফিরে জানান, সোমবার ব্যাঙ্ককের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টায় তাঁরা রওনা হন। মঙ্গলবার বিমান কলকাতা পৌঁছয় নির্ধারিত সময়ের দু’ঘণ্টা পরে, দুপুর ২টো নাগাদ। শৈলেশ বলেন, “১১ নম্বর কনভেয়র বেল্ট থেকে ব্যাগ সংগ্রহ করতে ভিড় করেন যাত্রীরা। কিন্তু দেখা যায় সেটি বন্ধ। এক ঘণ্টা অপেক্ষার পরে বিমান সংস্থার এক কর্মী জানান, কিছু সমস্যা হওয়ায় ব্যাঙ্কক থেকে কারও ব্যাগই বিমানে তোলা হয়নি।” ওই কর্মী যাত্রীদের নির্দিষ্ট আবেদনপত্র জমা দিয়ে বাড়ি যেতে বলেন। জানানো হয়, মঙ্গলবার রাত ১১টায় তাই এয়ারওয়েজের অন্য বিমানে পাঠানো হবে ব্যাগগুলি।
কলকাতার তাই এয়ারওয়েজের এক কর্তা ভিচায়া সিংতোরেজ সমস্যার কথা স্বীকার করে জানান, ব্যাঙ্ককে যাত্রীদের বিমানে ওঠানোর সময়ে জানা যায় ৩০ জনের কাছে অতিরিক্ত ওজনের হাত ব্যাগ রয়েছে। বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি ওই যাত্রীদের। বিমানে তুলে দেওয়া তাঁদের অন্য ব্যাগগুলি নামানোর ব্যবস্থা হয়। কিন্তু ভিচায়া বলেন, “কয়েকশো ব্যাগের মধ্যে ওই তিরিশ জনের ব্যাগ চিহ্নিত করতে না পারায় সমস্ত ব্যাগ নামানো হয়। এর জেরে দেরি হওয়ায় পাইলট ব্যাগগুলি বিমানে তোলার অপেক্ষা না করে যাত্রীদের নিয়ে কলকাতা চলে আসেন। ঠিক হয়, রাতের উড়ানে ব্যাগগুলি পাঠানো হবে।”
ব্যাগের মধ্যে বাড়ির চাবি থাকায় বন্ধুর বাড়িতে থাকতে হয় শৈলেশকে। বললেন, “বাড়ির চাবি, টাকা ও দরকারি নথি আছে ব্যাগে। ব্যাগগুলি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত স্বস্তি নেই।”