বোমাবাজিতে ধৃত আরও ২

পরিচিতের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে বলতে মুখ ফসকে গোপন ডেরার নাম বলে ফেলে সে। আর তাতেই পুলিশের জালে ধরা পড়ল বেলেঘাটার দাগি দুষ্কৃতী রাজু নস্কর। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির পাহাড়গঞ্জের একটি হোটেল থেকে ধরা হয় তাকে। রাজু ছাড়াও ধরা পড়ে রণবীর সাহা নামে আর এক জন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৪ ০০:০১
Share:

পরিচিতের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে বলতে মুখ ফসকে গোপন ডেরার নাম বলে ফেলে সে। আর তাতেই পুলিশের জালে ধরা পড়ল বেলেঘাটার দাগি দুষ্কৃতী রাজু নস্কর। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির পাহাড়গঞ্জের একটি হোটেল থেকে ধরা হয় তাকে। রাজু ছাড়াও ধরা পড়ে রণবীর সাহা নামে আর এক জন। ধৃতেরা বেলেঘাটায় বোমাবাজি ও হাঙ্গামার ঘটনার মূল অভিযুক্ত বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ জানিয়েছে, রাজু আগেও গ্রেফতার হয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুন-সহ একাধিক মামলা রয়েছে। তবে এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর পাণ্ডা শঙ্কর চক্রবর্তী এখনও অধরা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতা জীবন সাহা বনাম তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের গোষ্ঠীর মধ্যে বেলেঘাটার দখল নিয়ে গোলমাল আছে। এর জেরেই কয়েক মাস ধরে সেখানে লাগাতার বোমাবাজি ও মারামারি হচ্ছে। গত ৭ জুলাই সন্ধ্যায় সেখানে বোমাবাজি হওয়ার পরেই প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের নির্দেশে তদন্তের ভার দেওয়া হয় গুন্ডাদমন শাখাকে। লালবাজার সূত্রে খবর, ধরপাকড় শুরু হতেই রাজু ও শঙ্কর গা-ঢাকা দেয়।

লালবাজার সূত্রে খবর, জুলাই থেকেই রাজুর পিছনে ছিলেন গোয়েন্দারা। তাঁরা জানতে পারেন, স্থানীয় কিছু তৃণমূল নেতার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখছে রাজু। শুরু হয় তার ফোনে নজরদারি। গত এক মাসে মুম্বই, হরিদ্বার থেকে রাজুর খবর মিললেও সেখানে হানা দিয়ে তার সন্ধান মেলেনি। গোয়েন্দাকর্তারা জানান, “১৯ অগস্ট রাজু ফোনে কলকাতার এক তৃণমূল নেতার সঙ্গে কথা বলার ফাঁকে পাহাড়গঞ্জের নাম বলে ফেলে। তার ভিত্তিতেই চার জনের দল দিল্লি পাঠানো হয়।” পুলিশ জানায়, সেখানে লাভলি প্যালেস নামে একটি হোটেলে ধৃতদের সন্ধান মেলে। পুলিশ জেনেছে, ১৮ অগস্ট থেকে রাজুরা ওই হোটেলে ছিল। পুলিশের নজর এড়াতে মাথার কোঁকড়া চুল সোজা করিয়েছিল রাজু। ঘর থেকেও বিশেষ বার হত না সে। তবে ভিন্ রাজ্যে থাকলেও তার কাছে কলকাতা থেকে নিয়মিত টাকার জোগান আসত বলে জেনেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার গ্রেফতারের সময়ে ওই দু’জন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল বলে জানায় পুলিশ। শুক্রবার তাদের তিসহাজারি আদালতে হাজির করানো হয়। তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে আজ, শনিবার তাদের কলকাতায় আনা হবে।

Advertisement

লালবাজারের এক কর্তা জানান, রাজু বেলেঘাটার তৃণমূল নেতা জীবন সাহার ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এ দিন জীবনবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু বলতে চাননি। এর আগে এই বোমাবাজির ঘটনায় ৬ জন গ্রেফতার হয়। এ দিন এলাকার বিধায়ক পরেশ পাল বলেন, “যারা অন্যায় করছে তৃণমূল সরকারের পুলিশ তাদের গ্রেফতার করবেই”।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement