জাপানি তরুণী গণধর্ষণ-কাণ্ডে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার গভীর রাতে, মধ্য কলকাতার এ কে মহম্মদ সিদ্দিক লেন থেকে। পুলিশ জানায়, ধৃত মহম্মদ ওয়াসিম ভারতীয় জাদুঘরের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। মঙ্গলবার তাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মোট ছ’জন গ্রেফতার হল।
পুলিশ সূত্রে খবর, পর্যটক ভিসা নিয়ে গত ২০ নভেম্বর কলকাতায় এসে নিউ মার্কেট এলাকার সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলে উঠেছিলেন ওই তরুণী। সেখানে দুই যুবককে গাইড হিসেবে সঙ্গে নেন। ওই যুবকেরাই তাঁকে নিয়ে গাড়ি করে ২৩ নভেম্বর প্রথমে দিঘা যায়। অভিযোগ, সেখানে অস্ত্র দেখিয়ে এটিএম পিন জেনে প্রায় ৭৬ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয় তরুণীর অ্যাকাউন্ট থেকে। ২৫ তারিখ দিঘা থেকে কলকাতায় ফিরে অন্য তিন যুবকের সঙ্গে জোর করে ওই গাড়িতেই তুলে দেওয়া হয় তাঁকে। এর পরে তরুণীকে নিয়ে ওই গাড়ি চলে যায় বোধগয়ায়। অভিযোগ, সেখানে ২ সপ্তাহ আটকে রেখে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। তার পরে তাঁকে বারাণসীর বাসে তুলে দেওয়া হয়। সেখান থেকে তিনি কলকাতা ফিরে আসেন। এর পরেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এই ঘটনায় পুলিশ আগেই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে সাবির খান, ওয়াসিম খান এবং শাহিদ ইকবাল কলকাতার বাসিন্দা। অন্য দু’জন জাভেদ খান এবং সাজিদ খানকে বোধগয়া থেকেই ধরা হয়।
পুলিশ জেনেছে, মহম্মদ ওয়াসিমই গাড়ি চালিয়ে অভিযুক্ত তিন যুবকের সঙ্গে তরুণীকে নিয়ে যায় বোধগয়ায়। তবে দিঘায় ওই তরুণীকে নিয়ে যাওয়ার সময় কে গাড়ি চালিয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। পুলিশের দাবি, ধর্ষণের ঘটনায় ওয়াসিমও যুক্ত। এর আগে জাভেদ ও সাজিদ জেরায় গণধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ওয়াসিমের বিরুদ্ধে জাদুঘর থেকেও তোলা আদায় করার অভিযোগ ছিল। জাদুঘরের স্টাফ কোয়ার্টার্সের সামনে যে গাড়িগুলি রাখা হত, তার একটিতেই ওই তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে গোয়েন্দাদের ধারণা। প্রায় দু’সপ্তাহ ওয়াসিম জাদুঘরে আসছিল না বলেও জেনেছে পুলিশ। এর পরেই তাঁকে সন্দেহ করা শুরু হয়। জাদুঘরের কর্মী হওয়ায় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখে তার গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে।