কাশীপুরে হাঙ্গামার তদন্তে লালবাজার

কাশীপুরে এক সিপিএম নেতাকে শারীরিক ভাবে নিগ্রহের ঘটনায় স্থানীয় থানার ওসি হামলাকারীদের গ্রেফতার না-করে আড়াল করছেন বলে অভিযোগ। সে দিনের ঘটনা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৪ ০৩:০০
Share:

কাশীপুরে এক সিপিএম নেতাকে শারীরিক ভাবে নিগ্রহের ঘটনায় স্থানীয় থানার ওসি হামলাকারীদের গ্রেফতার না-করে আড়াল করছেন বলে অভিযোগ। সে দিনের ঘটনা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

Advertisement

গত রবিবার কাশীপুরে সিপিএমের লোকাল কমিটির সম্পাদক কল্যাণ সমাজদারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে এক দল দুষ্কৃতী। হামলাকারীরা তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক বলে অভিযোগ করা হয় পুলিশের কাছে। ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের আড়াল করার অভিযোগ উঠেছিল কাশীপুর থানার ওসি শেখ মহম্মদ কলিমুদ্দিনের বিরুদ্ধে। তিনি কেন হামলাকারীদের গ্রেফতার করছেন না, ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ওসি-র কাছে জানতে চান অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (এসি) জিয়াউর রহমান। প্রকাশ্যেই এসি-র সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন ওসি। এসি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। কমিশনও এর পরে বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করে। পরে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।

কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) রাজীব মিশ্র মঙ্গলবার বলেন, “কাশীপুরের ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।” ওই দিন কাশীপুরে ঠিক কী ঘটেছিল, তাতে কার কী ভূমিকা ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঠিক ভাবে পরিচালনা করা হয়েছিল কি না, কেনই বা এসি-র সঙ্গে প্রকাশ্য রাস্তায় ওসি বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়লেন তদন্তে এ-সব গুরুত্ব পাবে। পুলিশ জানায়, ওই দিন অসুস্থ ছেলের জন্য ওষুধ কিনতে বেরোন কল্যাণবাবু। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূলের জনা পঞ্চাশ কর্মী-সমর্থক মোটরবাইক নিয়ে তাঁকে ধাওয়া করে। তিনি স্থানীয় একটি পার্টি অফিসে ঢুকে পড়েন। বাইক-বাহিনী সেখানেও হাজির হয়। কল্যাণবাবু এবং অন্যদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কল্যাণবাবু জ্ঞান হারান। তিনি এখন একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement