ক্রীড়া উদ্যানের সংস্কারে উদ্যোগী পুরসভা

অবশেষে আক্রা ফটকের ক্রীড়া উদ্যানটির সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। গার্ডেনরিচের আক্রা ফটকে পুরসভার প্রায় বারো বিঘা জমিতে রয়েছে এই ক্রীড়া উদ্যানটি। আগামী অর্থবর্ষে ধাপে ধাপে এই কাজ হবে বলে পুরসভা সূত্রে খবর। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন,“পুরসভার উদ্যান দফতরে এই উদ্যানটির কোনও নথি ছিল না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৪ ০৫:৩৯
Share:

সংস্কারের অপেক্ষায়। ছবি: অরুণ লোধ।

অবশেষে আক্রা ফটকের ক্রীড়া উদ্যানটির সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। গার্ডেনরিচের আক্রা ফটকে পুরসভার প্রায় বারো বিঘা জমিতে রয়েছে এই ক্রীড়া উদ্যানটি। আগামী অর্থবর্ষে ধাপে ধাপে এই কাজ হবে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।

Advertisement

কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন,“পুরসভার উদ্যান দফতরে এই উদ্যানটির কোনও নথি ছিল না। সেই কারণে নির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ করা ছিল না। এই উদ্যান পুরসভার উদ্যান দফতরে নথিভুক্ত হওয়ার পরেই এই উদ্যানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। পুরসভার আপাতত স্টেডিয়াম তৈরির কোনও পরিকল্পনা নেই। এই বিষয়ে রাজ্যের ক্রীড়া দফতর ব্যবস্থা নিতে পারে।” রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “আমার দফতর থেকে ওই জমির স্টেটাস রিপোর্ট জানতে চেয়েছি।”

গার্ডেনরিচে কলকাতা পুরসভার ১৪০ নম্বর ওয়ার্ডের আক্রা ফটকে গঙ্গার ধারে বহু দিন ধরে প্রায় ১২ বিঘা সরকারি জমি ফাঁকা পড়েছিল। এর পাশেই রয়েছে ইটভাটা। অভিযোগ, ইটভাটার পলির জন্য জোয়ারের সময়ে স্লুইস গেট খুলে দেওয়া হত। তখন গঙ্গার জল ঢুকে এই জমিটি প্লাবিত করত। অনেক সময় স্লুইস গেট সময়মতো বন্ধ না করার ফলেও জল ঢুকে যেত।

Advertisement

কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এই এলাকায় বহু দিন ধরেই খেলার মাঠের দাবি ছিল। সেই সময় রাজ্য পূর্ত দফতর এই জমিতে স্টেডিয়াম তৈরির কথা ভাবে। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। পরে রাজ্য সরকার এই জমি কলকাতা পুরসভাকে হস্তান্তর করে। ২০০৯-এ কলকাতা পুরসভা এখানে ক্রীড়া উদ্যান তৈরি করে। তার পরে ক্রীড়াঙ্গনের কিছু উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। পলি ফেলে মাঠ উঁচু করা হয়েছে। নিকাশির উন্নয়ন এবং মাঠে যাতে জোয়ারের জল না ঢোকে তাই মাঠের একাংশে শালবল্লা দিয়ে বাঁধনো হয়েছে। মাঠে আলোও লাগানো হয়েছে। তবে এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে বলেও পুরকর্তৃপক্ষ

স্বীকার করেছেন।

পুরকর্তৃপক্ষ জানান, প্রতিটি বরোতেই এলাকার উন্নতির জন্য বাজেটে অর্থবরাদ্দ করা হয়। সেখান থেকে এলাকার যে কোনও উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ খরচ করা যায়। কিন্তু উদ্যান দফতরে যদি উদ্যানটি নথিভুক্ত না থাকে, তা হলে বাজেট বরাদ্দ করা যাবে না। এই উদ্যানটি নথিভুক্ত হওয়ায় পরে এখন সেই সমস্যা নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement