সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, জনস্বার্থে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের আটকে যাওয়া কাজ শেষ করতে আলোচনায় বসুক সব পক্ষ। আদালতের নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল রাজ্য সরকার। সেখানেই মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গঙ্গার তলা দিয়ে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজটি শীঘ্র শুরু করতে চান তাঁরা। উল্লেখ্য, সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত বিস্তৃত ওই প্রকল্পের কাজ মাঝপথে আটকে গিয়েছে অর্থ এবং জমি জটে।
সল্টলেক থেকে শুরু করে শিয়ালদহ অবধি ৬০ শতাংশ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে গিয়েছে। তার পরেই অর্থসঙ্কট এবং জমিজটের পাশাপাশি সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন, মহাকরণ এবং ব্রেবোর্ন রোডের ক্ষেত্রে ওই প্রকল্পের গতিপথ কী হবে, তা নিয়ে মতানৈক্য শুরু হয়।
রাজ্য সরকারের মত, সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন থেকে ধর্মতলা, মহাকরণ হয়ে হাওড়া যাক ওই প্রকল্প। কিন্তু মেট্রো রেলের ওই প্রকল্পের মূল গতিপথ ছিল সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে ব্রেবোর্ন রোড হয়ে হাওড়া। মেট্রো কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ধর্মতলা-মহাকরণ দিয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প নিয়ে গেলে বহু টাকা বাড়তি ব্যয় হবে। ওই বাড়তি অর্থ ব্যয়ে নারাজ মেট্রো। এই নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে তা পৌঁছয় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত।
আদালত এর পরেই রাজ্য সরকার এবং ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে মেটানোর নির্দেশ দেয়। সেই মতো এ দিনের বৈঠকে আলোচনার শুরুতেই ব্রেবোনর্র্ রোড পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শুরু করতে চান মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ওই কাজ শুরু করতে গেলে ব্রেবোর্ন রোডের কিছু অংশ বন্ধ রাখতে হবে। একটি পেট্রোল পাম্পকে উচ্ছেদ করে পুনর্বাসন দিতে হবে। ওই পেট্রোল পাম্পটি রাজ্য সরকারের কাছে রাজারহাটে পুনর্বাসনের জমি চেয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা পুলিশ, পরিবহণ ও নগরোন্নয়ন দফতর আলোচনার পরেই কয়েক দিনের মধ্যে মেট্রোকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।