সরণি আঁধার। ভরসা আবাসনের হ্যালোজেনের আলো। ছবি: শৌভিক দে।
কাছেই বিমানবন্দর। কিন্তু রাস্তার সব বাতিস্তম্ভে আলো জ্বলে না। ভরসা গাড়ির আলো। সমস্যার কিছুটা সমাধান করতে স্থানীয় এক আবাসনের বাসিন্দারা নিজেরাই আবাসনের ছাদে হ্যালোজেন বসিয়েছেন। এয়ারপোর্ট তিন নম্বর গেট সংলগ্ন একটি আবাসনের এই উদ্যোগ।
এয়ারপোর্ট তিন নম্বর গেট থেকে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার পথে রাস্তার কিছু বাতিস্তম্ভে আলো জ্বলে না। এই পথে খালাসিকোটা ব্লক পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে রয়েছে কয়েকটি আবাসন। অভিযোগ, সেগুলির প্রবেশ পথের সামনে সারি বেঁধে ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে। বাসিন্দা সমীরবরণ সাহা বলেন, “একে রাস্তায় আলো নেই। তার মধ্যে অন্ধকারে ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে দুর্ঘটনার প্রবল আশঙ্কা।”
আরও অভিযোগ, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার পথে অন্ধকারে বাসযাত্রীরা ওঠা-নামা করেন। ফলে পিছনের গাড়ি ঠাহর করতে না পারায় ধাক্কা মারে। ওখানকার ডাইভার্সন বোর্ডটিও দুর্ঘটনায় ভেঙে গিয়েছে।
বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এটা স্থায়ী সমাধান নয়। বিষয়টি তাঁরা বিধাননগর কমিশনারেট ও পুরসভাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন। কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, “ওখানে নো পার্কিং বোর্ড লাগানো হবে। তবে আলোর বিষয়টি পুরসভার দায়িত্ব।” যদিও উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুনীল চক্রবর্তী বলেন, “আলোর দায়িত্ব আমাদের নয়, রাস্তাটির নির্মাণকারী সংস্থা ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি-র।” যদিও ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার এক পদস্থ কর্তা জানান, ওই এক্সপ্রেসওয়ে যে সব পুর এলাকাগুলোর মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, সেই পুরসভারগুলিকেই তাদের এলাকায় আলো দিতে হবে।