প্রতীকী ছবি
অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক কারখানার শ্রমিকের। মৃতের নাম ফিরোজ শেখ (১৯)। পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের বাসিন্দা ওই যুবক কর্মসূত্রে ট্যাংরায় থাকতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মাসখানেক আগে ট্যাংরার মহেশ্বরতলা লেনে একটি চামড়ার কারখানায় কাজ করতে এসেছিলেন ফিরোজ। ওই রাস্তায় একটি চারতলা বাড়ির তেতলার একটি ঘর চামড়ার কারখানা হিসেবে ব্যবহার হয়। সেটির মালিক দিন কয়েক আগে বিহারে আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছেন। কারখানায় আছেন মোট পাঁচ জন কর্মী। রবিবার বিকেলে চার জন কর্মী বেরিয়ে গিয়েছিলেন। ঘরে ছিলেন ফিরোজ এবং সাকিব নামে আর এক জন।
সাকিব পুলিশকে জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ ফিরোজ স্নান করতে যাবেন বলে শৌচাগারে যান। কিন্তু প্রায় আধ ঘণ্টা কেটে গেলেও না বেরোনোয় সাকিব শৌচাগারে গিয়ে খোঁজ করেন। কিন্তু, ফিরোজের দেখা পাননি। এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই কারখানার অন্য চার কর্মী ফিরে এসে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে টর্চ নিয়ে ছাদে গিয়ে দেখা যায়, ফ্ল্যাট লাগোয়া একটি গাছের ডাল থেকে গলায় গামছার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছেন ফিরোজ।
এর পরেই অন্য শ্রমিকেরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে ফিরোজকে এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মৃত যুবক দীর্ঘদিন ধরে মৃগী রোগে ভুগছিলেন। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। অবসাদজনিত কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে রবিবার রাতেই কলকাতায় এসে পৌঁছন বাবা খাইরুল শেখ। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কী এমন হয়েছিল যে, ছেলে কাজ করতে এসে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল? পুলিশ ঘটনার ঠিক মতো তদন্ত করুক।’’ সোমবার রাত পর্যন্ত অবশ্য মৃতের পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।