Cyclone Amphan

সংস্কারের পরে পিকনিকের জন্য খুলছে বনাঞ্চল

বনাঞ্চল সংস্কারের পরে সম্প্রতি বৈঠকে বসে জল প্রকল্প পরিচালন কমিটি। সেখানেই শীতে পুনরায় পিকনিকের জন্য ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

আমপানে তছনছ হয়ে গিয়েছিল শহর লাগোয়া কয়েক একর জায়গা জুড়ে থাকা বনাঞ্চল। বিভিন্ন গাছ থেকে শুরু করে সীমানা পাঁচিল, পিকনিকের জায়গার ছাউনি— সব ভেঙে গিয়েছিল। আর তাতেই তৈরি হয়েছিল বিপুল রাজস্ব ক্ষতির আশঙ্কা। কিন্তু শেষমেশ উপড়ে পড়া গাছ সরিয়ে, কংক্রিটের ভাঙা অংশ পরিষ্কার করে শীতের মরসুমে ফের পিকনিক চালুর সিদ্ধান্ত নিলেন বরাহনগর-কামারহাটি যৌথ জল প্রকল্পের কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

তাঁরা জানান, আমপানের পরে রাজস্ব ঘাটতির যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, পিকনিকের জন্য ভাড়া দিয়ে তা কিছুটা মেটানো যাবে। জল প্রকল্পের এক কর্মীর কথায়, ‘‘ঝড়ে সব ওলটপালট হয়ে গিয়েছিল। কী ভাবে সব স্বাভাবিক করা হবে, সেটাই ছিল প্রধান চিন্তা। তবে দুই পুরসভাই তড়িঘড়ি সব সংস্কার করেছে।’’

দক্ষিণেশ্বরের আর এন টেগোর রোডে ‘বরাহনগর-কামারহাটি যৌথ জল প্রকল্প’-এ প্রায় ৩০ একর জায়গা জুড়ে ওই বনাঞ্চল। দু’টি জলাশয়-সহ ৩৫টি প্রজাতির প্রায় তিনশো গাছের বনাঞ্চলের মধ্যে রয়েছে ১০টি আলাদা পিকনিকের জায়গা। শীতে বিভিন্ন প্রজাতির পাখিরও দেখা মেলে সেখানে। আমপানে বনাঞ্চলের ২০০-২৫০ ফুট পাঁচিল ভেঙে পড়ার পাশাপাশি প্রায় ৪০টি গাছ উপড়ে গিয়েছিল। জলাশয়ের পাড় থেকে ভেঙে পড়েছিল মাটিও। ভেঙে পড়েছিল পিকনিকের জায়গার ছাউনি, শৌচাগার। এর পরেই দুই পুর কর্তৃপক্ষ চিন্তায় পড়ে যান। কারণ, পিকনিকের জায়গা ভাড়া দিয়ে এবং বড় জলাশয়টি মাছ চাষের জন্য লিজ় দিয়ে বছরে প্রায় ১৪-১৫ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় হত। কিন্তু ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া পরিস্থিতি শীতে স্বাভাবিক করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন পুরকর্তারা।

Advertisement

বনাঞ্চল সংস্কারের পরে সম্প্রতি বৈঠকে বসে জল প্রকল্প পরিচালন কমিটি। সেখানেই শীতে পুনরায় পিকনিকের জন্য ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিটির সভাপতি তথা বরাহনগর পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর অঞ্জন পাল জানান, পিকনিকে মাইক বা বক্স বাজানো যাবে না। একটি দলে ৫০ জনের বেশি থাকতে পারবেন না। কামারহাটি পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, ‘‘পাঁচিল না থাকায় বহিরাগতেরা ঢুকে পড়ছিল। মাছও চুরি হচ্ছিল। তাই দুই পুরসভার তরফেই দ্রুত সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement