পুজোয় শব্দতাণ্ডব কমানোই লক্ষ্য। ফাইল চিত্র।
রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন, এ বার পুজোয় শব্দতাণ্ডব কমানোর জন্য পুলিশ, পুজো কমিটি-সহ পুজোর প্রক্রিয়ায় যুক্ত সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। নির্ধারিত মাত্রার মধ্যে শব্দযন্ত্র চালানো, শুধুমাত্র সবুজ বাজি পোড়ানো-সহ শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কাদের কী করণীয়, তা সব পক্ষকে বলা হচ্ছে। এর পরেই শুক্রবার কলকাতা পুলিশ, হাওড়া, বিধাননগর, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এবং পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
বৈঠকে পর্ষদের তরফে পুলিশ এবং পুজো উদ্যোক্তাদের পরিবেশবিধি মেনে চলার আবেদন জানানো হয়। বলা হয়, প্রতি বছরের মতো এ বছরেও শব্দদূষণ সংক্রান্ত অভিযোগ নথিভুক্ত করার জন্য পর্ষদ কন্ট্রোল রুম খুলবে। সেখানে যে সমস্ত অভিযোগ জমা পড়বে, সেগুলি সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। শব্দদূষণের ঘটনা সরেজমিনে দেখার জন্য পর্ষদের দলও রাস্তায় থাকবে। তা ছাড়া, প্রত্যেক বছরের মতো পরিবেশবিধি মেনে পুজো করার জন্য পর্ষদ সেরা পুজোগুলিকে বিশেষ পুরস্কারও দেবে।
যদিও পর্ষদের এই বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে চাননি পরিবেশকর্মীদের একাংশ। শব্দদূষণের বিরোধিতা করা পরিবেশকর্মীদের সংগঠন ‘সবুজ মঞ্চ’-র সাধারণ সম্পাদক নব দত্ত বলছেন, ‘‘এগুলো আবার নতুন কথা কী! এ তো প্রতি বছরই বলা হয়। তার পরেও শব্দদূষণ যেমন হওয়ার, তেমন হয়।’’ পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের বক্তব্য, ‘‘রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ নিজেদের কাজটা ঠিক মতো করলে শব্দদূষণ নিয়ে এত মামলা হত না জাতীয় পরিবেশ আদালতে। দুর্ভাগ্য, তারা তাদের কাজটাই করে না।’’
যদিও পর্ষদের এক কর্তার বক্তব্য, ‘‘পর্ষদের যতটুকু আইনি ক্ষমতা রয়েছে, তার মধ্যে সমস্ত চেষ্টা করা হয়। তবে শুধুমাত্র আইন করে বা পুলিশি অভিযান চালিয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে কি? এর জন্য সমাজের সব স্তরে সচেতনতা এবং সহযোগিতাও দরকার।’’