প্রতীকী চিত্র।
কথায় বলে মাছে-ভাতে বাঙালি। লকডাউনের পরিস্থিতিতে ভাত থাকলেও টান পড়েছে মাছে। সকাল সকালই বাজার থেকে উধাও রুই-কাতলা-বাটা। এই অবস্থায় শহরবাসীর কাছে মাছ পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম।
নিগমের কর্তারা জানিয়েছেন, লকডাউনের সময়ে শহর ও শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় মাছ বিক্রি করবে রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম। বাজারগুলিতেও নিগমের তরফে মাছ বিক্রি করা হবে। পাশাপাশি নিগমের অ্যাপের (এসএফডিসি) মাধ্যমেও ঘরে বসে মাছ কেনা যাবে।
রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের কাছে মাছ পৌঁছে দিতে শনিবার থেকে শহরে দশটি গাড়ি চালু হয়েছে। আগামী সোমবার থেকে আরও দশটি গাড়ি চলবে।’’ নিগম সূত্রের খবর, নলবনে নিগমের বিশাল জলাশয় থেকে শনিবার ভোরে প্রায় তিনশো কেজি মাছ ধরা হয়েছে। ওই মাছ এ দিন সকালে দশটি গাড়িতে চাপিয়ে সল্টলেকের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হয়েছে। যোধপুর পার্ক, টালিগঞ্জ, যাদবপুরের মতো জায়গায় মাছ বিক্রি হয়েছে। নবান্নেও একটি মাছের গাড়ি পাঠানো হয়েছে। আজ, রবিবার শ্যামবাজার মোড়ে একটি গাড়ি পাঠানোর কথা।
নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জলাশয়ের টাটকা রুই, কাতলা, মৃগেল, তেলাপিয়া ছাড়াও গ্রাস কার্প, চিংড়ি, ট্যাংরা আমরা ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করছি।’’ তিনি জানান, রবিবার থেকে বালিগঞ্জ, কালীঘাট, নিউ টাউনে ওই পরিষেবা মিলবে।
সোমবার থেকে সারা শহরে মৎস্য নিগমের গাড়ি ঘুরবে।
লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে যখন বাড়িতে থাকার জন্য সরকার জোর দিচ্ছে, সেই অবস্থায় অ্যাপের মাধ্যমে নিগমের মাছ বিক্রির সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করেন মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথবাবু। তিনি বলেন, ‘‘লকডাউনের পরিস্থিতিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিষেবা চালু রেখে শহরবাসীদের দরজায় দরজায় ন্যায্য মূল্যে মাছ পৌঁছে দেওয়া হবে।’’
মন্ত্রী জানান, কলকাতা ছাড়াও জেলায় নিগমের বিভিন্ন জলাশয় থেকে মাছ বিক্রি শুরু হয়েছে শনিবার থেকে। বর্ধমানের যমুনাদিঘি থেকে আউশগ্রাম, বোলপুরে মাছ বিক্রি হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা-সহ বিভিন্ন জায়গায় জলাশয় থেকে মাছ তুলে মেদিনীপুরে বিক্রির কথা জানিয়েছে নিগম।
অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।