দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো বঙ্গেও যে করোনা আক্রান্ত বাড়ছে, তা অস্বীকার করা যাবে না। ফাইল ছবি।
ধীরে হলেও বদলাচ্ছে বঙ্গের করোনা-চিত্র। এক জনও কোভিডে আক্রান্ত হননি, গত মাসেও রাজ্যে এমন জেলার সংখ্যা ছিল দশের উপরে। কিন্তু গত কয়েক দিনে সেই ছবি বদলেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, শেষ এক সপ্তাহে ওই সংখ্যা নেমে এসেছে পাঁচের নীচে। যদিও রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে। অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
পাশাপাশি তাঁরা এ-ও জানাচ্ছেন, দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো বঙ্গেও যে করোনা আক্রান্ত বাড়ছে, তা অস্বীকার করা যাবে না। মার্চের শুরুতে রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল দশের নীচে। ওই মাসের শেষ দিক থেকে ধীরে সেই সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। তা পৌঁছে যায় প্রায় কুড়ির কাছাকাছি। আবার, চলতি মাসের গোড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রবেশ করে ৩০-এর ঘরে। যদিও, গত ২৪ ঘণ্টায়, অর্থাৎ রবিবার রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ জন। তবে ছুটির দিনে পরীক্ষা কম হওয়ার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা কম বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। রবিবার সব চেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতা (৮ জন) এবং উত্তর ২৪ পরগনায় (৭ জন)।
গত ২ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে করোনাশূন্য জেলা মাত্র চারটি— আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, ঝাড়গ্রাম এবং পূর্ব মেদিনীপুর। মার্চের মাঝামাঝিও এই সংখ্যা ছিল ১৩। এ বারের পরিসংখ্যানে আরও দেখা যাচ্ছে, পজ়িটিভিটি রেট সব চেয়ে বেশি কালিম্পংয়ে (২৫%)। পাঁচ শতাংশের বেশি পজ়িটিভিটি রেট পশ্চিম মেদিনীপুর (৭.২৭) ও কলকাতায় (৬.৮৪)। অন্য দিকে, ২ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (৪.৭৭), নদিয়া (৪.৫৫), উত্তর দিনাজপুর (৩.৩৩), বীরভূম (৩.১৩), দক্ষিণ দিনাজপুর (৩.০৯), হাওড়া (২.৩৬), বাঁকুড়া (২.০) এবং পুরুলিয়া (২.০)। তবে ধীরে করোনা ছড়ালেও আজ, মঙ্গলবার রাজ্যের ৩১টি হাসপাতালে খতিয়ে দেখা হবে কোভিডের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় জীবনদায়ী ব্যবস্থাপনার পরিকাঠামো। শহরের বেলেঘাটা আইডি, শম্ভুনাথ পণ্ডিত এবং এম আর বাঙুর হাসপাতালে হবে ওই মহড়া।