বুধবারই স্বাস্থ্য দফতর কেমোথেরাপির বিল সম্পর্কে নির্দেশিকা জারি করেছিল। প্রতীকী ছবি।
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ক্যানসারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেশ কিছু জালিয়াতি ধরা পড়ছিল মাঝেমধ্যেই। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে এ বার কেমোথেরাপি, রেডিয়োথেরাপি, অঙ্কো-প্যাথলজি, নিউক্লিয়ার মেডিসিনের মতো ক্যানসারের বিভিন্ন চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয়ের খরচের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিল স্বাস্থ্য দফতর। এই সব ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে কত খরচ পাওয়া যাবে, সে সম্পর্কে বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবারই স্বাস্থ্য দফতর কেমোথেরাপির বিল সম্পর্কে নির্দেশিকা জারি করেছিল। কারণ, স্বাস্থ্যকর্তাদের পর্যবেক্ষণ ছিল, বহু ছোটখাটো নার্সিংহোম কেমোথেরাপির বিল পাঠাচ্ছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে। অথচ, সেখানে ক্যানসার চিকিৎসার বন্দোবস্তই নেই। তাই বেসরকারি ও সরকারি কোন স্তরের হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে কেমোথেরাপি করানো যাবে, তা জানিয়ে দিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। এ বার চিকিৎসা ও পরীক্ষার খরচও বেঁধে দেওয়া হল।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সাধারণ লিনিয়র অ্যাক্সিলারেটরে রেডিয়েশনের ক্ষেত্রে খরচ সর্বাধিক ৩৫ হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে। আবার, ইলেকট্রন বিম রেডিয়েশন খাতে সর্বাধিক ১৫ হাজার টাকা, টোমোথেরাপির জন্য ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ঊর্ধ্বসীমা নির্দিষ্ট হয়েছে। এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, “খরচের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে না দেওয়ায় যে যেমন খুশি বিল করছিল। অনেকাংশেই সেগুলি জালিয়াতি বলে ধরা পড়ছিল।”