প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে লুকিয়ে-চুরিয়ে চলা বেআইনি বাজি কারখানা সংক্রান্ত তথ্য দিতে পারলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পাঁচশো টাকা আর্থিক পুরস্কার দেবে রাজ্য সরকার। পুরস্কারের টাকা ওই ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের টোল-ফ্রি নম্বরে (১৮০০৩৪৫৩৩৯০) ওই তথ্য দেওয়া যাবে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। আরও জানিয়েছেন, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্যে সবুজ বাজি ছাড়া অন্য বাজি না-ফাটা নিশ্চিত করতে সব পদক্ষেপ করছে পুলিশ-প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, সবুজ বাজি নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। কালীপুজোয় সবুজ বাজির বিক্রি ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে দুই কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানও নজরদারি চালাবে বলে জানিয়েছে আদালত। যার প্রেক্ষিতে এ দিন বিশেষ বৈঠকে বসে পরিবেশ দফতর ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। সিদ্ধান্ত হয়েছে, আদালতের নির্দেশ সম্পর্কে জেলাশাসক, জেলাপুলিশ, পুলিশ কমিশনারেট, জনপ্রতিনিধি-সহ সকলকে সচেতন করা হবে।
কারণ, এ রাজ্যে সবুজ বাজির কারখানা নেই। ফলে শিবকাশির বাজি ওই নির্দিষ্ট মাপকাঠি পূরণ করছে কি না, তা ‘ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট’ (নিরি) এবং ‘পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস সেফটি অর্গানাইজেশন’ (পেসো) নামক দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা যাচাই করে দেখবে। তারা যে সব বাজিকে সবুজ সঙ্কেত দেবে, পরিবেশ দফতর সেগুলিরই বিক্রির অনুমতি দেবে। পরিবেশমন্ত্রীর কথায়, ‘‘শুধু নির্দেশ দিয়ে হবে না। জনসচেতনতাও বাড়াতে হবে। সেই ব্যাপারেও পদক্ষেপ করা হবে।’’ রাজ্যের প্রায় দেড়শো জায়গা থেকে শব্দদূষণ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে বলে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রের খবর। পর্ষদের কন্ট্রোল রুম এবং বিশেষ হেল্পলাইনও চালু থাকবে।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে। পরিবেশকর্মীদের সংগঠন ‘সবুজ মঞ্চ’ জানাচ্ছে, বারুইপুর থানা গত ১১ তারিখ অভিযান চালিয়ে প্রচুর বাজি তৈরির মশলা উদ্ধার করেছে। চম্পাহাটিতে বেআইনি বাজি বিক্রি রুখতে পুলিশ ভাল পদক্ষেপ করেছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নব দত্তের দাবি, ‘‘ষড়যন্ত্র করে তা ভেস্তে দিতে চাইছেন এক শ্রেণির বাজি-কারবারি।’’