চিঠিতে জানানো হয়েছে, ধর্মঘটের দিন অনুপস্থিত কর্মচারীদের লিখিত ভাবে জানাতে হবে, কেন তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না। —ফাইল চিত্র।
বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-র দাবিতে যাঁরা ধর্মঘটে শামিল হয়েছিলেন, সেই সরকারি কর্মচারীদের শোকজ় নোটিস পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য সরকার। গত ১০ মার্চ কেন অফিসে আসেননি, তার সন্তোষজনক জবাব না পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হল খাদ্য ভবনের তরফে জারি হওয়া নোটিসে।
গত ১০ মার্চ ধর্মঘটের আগেই রাজ্য সরকারের তরফে ধর্মঘট সমর্থনকারীদের কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছিল। জানানো হয় উপযুক্ত কারণ ছাড়া গরহাজির থাকলে এক দিনের বেতন, এমনকি, চাকরিজীবনের এক দিন বাদ যাবে। বিজ্ঞপ্তিতে ‘ব্রেক ইন সার্ভিসের’ কথাও বলে রাজ্যের অর্থ দফতর। সেই অনুযায়ী শুরু হচ্ছে শোকজ়ের প্রক্রিয়া।
চিঠিতে জানানো হয়েছে, ধর্মঘটের দিন অনুপস্থিত কর্মচারীদের লিখিত ভাবে জানাতে হবে, কেন তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না। সন্তোষজনক উত্তর না এলে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে ওই নোটিসে।
এখন কেন্দ্রীয় এবং এ রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র ফারাক প্রায় ৩৫ শতাংশ। মূল বেতনের ৩ শতাংশ হারে ডিএ পান বাংলার সরকারি কর্মচারীরা। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী। তার সঙ্গে আরও ৩ শতাংশ, অর্থাৎ মূল বেতনের ৬ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এর ফলে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের হচ্ছে ৩২ শতাংশ। ডিএ-র দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। গত ১০ মার্চ ওই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।