WBCHSE

একাদশ ও দ্বাদশের সিমেস্টারের পরীক্ষায় নয়া নিয়ম

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কর্তারা জানাচ্ছেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এমন ভাবে তৈরি করা হচ্ছে যাতে সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় রাজ্যের পড়ুয়ারা পিছিয়ে না পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:০০
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

একাদশ ও দ্বাদশের সিমেস্টার পদ্ধতি চালু করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এ বার সেই সিমেস্টারের পরীক্ষা পদ্ধতিতে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এমন কিছু নিয়ম তৈরি করছে, যাতে সিবিএসই বা আইএসসির প্রশ্নের ধরনের সঙ্গে সাযুজ্য থাকে। সেই সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কর্তারা জানাচ্ছেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এমন ভাবে তৈরি করা হচ্ছে যাতে সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় রাজ্যের পড়ুয়ারা পিছিয়ে না পড়ে।

Advertisement

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘জাতীয় শিক্ষানীতি এবং সিবিএসই এবং আইএসসিতে এমসিকিউয়ের উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরাও একাদশের ও দ্বাদশের প্রথম সিমেস্টারে প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষা এমসিকিউ-এর (মাল্টিপেল চয়েস প্রশ্ন) উপরে রাখছি। এমসিকিউ-তে নানা বৈচিত্র্য থাকবে।’’ তিনি জানান, এমসিকিউ প্রশ্নের ৫০ শতাংশ থাকবে সাধারণ মানের। ৩০ শতাংশ প্রশ্ন থাকবে সাধারণ মানের থেকে কিছুটা কঠিন। বাকি ২০ শতাংশ প্রশ্ন থাকবে মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য। কোনও বিষয়ের উপরে দক্ষতা না থাকলে ওই ২০ শতাংশের উত্তর লেখা যাবে না। সেই সঙ্গে শুধু সরাসরি প্রশ্নের মাধ্যমে সঠিক উত্তর বাছাই নয়, সঠিক উত্তর বেছে শূন্যস্থান পূরণ করা থেকে শুরু করে নানা ধরনের এমসিকিউ থাকবে।

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম ভাষা, দ্বিতীয় ভাষা ছাড়াও থাকছে তিনটি আবশ্যিক বিষয় ও একটি ঐচ্ছিক বিষয়। মোট ৫০০ নম্বরের পরীক্ষা। দু’টি ভাষার পরীক্ষার মধ্যে যে কোনও একটি বিষয়ে যদি এক জন পরীক্ষার্থী পাশ নম্বরের থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ কম পেয়ে ফেল করে, তাহলে সে যে বিষয়ে সব থেকে বেশি পেয়েছে সেই বিষয়ের নম্বর ফেল করা বিষয়ের সঙ্গে যোগ করে তাকে পাশ করিয়ে দেওয়া হবে। আবশ্যিক বিষয়ের মধ্যে কেউ যদি একটিতে ফেল করে অথচ ঐচ্ছিক বিষয়ে পাশ করে, তা হলে আবশ্যিক বিষয়টি ঐচ্ছিক হয়ে যাবে এবং ঐচ্ছিক বিষয়টি আবশ্যিক হিসাবে গণ্য করে তাকে পাশ করিয়ে দেওয়া হবে। এক জন পরীক্ষার্থী অবশ্য একসঙ্গে দু’টি সুবিধা পাবে না। এই সুবিধার বাইরে কেউ যদি একাধিক বিষয়ে ফেল করে, তাহলে তাকে সাপ্লিমেন্টারি দিতে হবে। সং‌সদ জানিয়েছে, প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষার সময়সীমা এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট এবং দ্বিতীয় সিমেস্টারের সময়সীমা দু’ঘণ্টা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement