স্বাস্থ্য ভবন। —ফাইল চিত্র।
ছানি অস্ত্রোপচারের পরে একসঙ্গে ১৬ জনের চোখে সংক্রমণ হওয়ার ঘটনাকে একেবারেই হালকা ভাবে নিচ্ছে না স্বাস্থ্য ভবন। বরং অস্ত্রোপচারের প্রক্রিয়ার মধ্যেই গাফিলতি থেকে গিয়েছিল বলে পর্যবেক্ষণ স্বাস্থ্যকর্তাদের। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তার জন্য অন্যান্য হাসপাতালকেও সতর্ক করল স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজের চক্ষু বিভাগে সংক্রমণ প্রতিরোধে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে এবং বর্তমানে সেখানে কী অবস্থা, সেই সম্পর্কে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্টও তলব করল স্বাস্থ্য ভবন।
শুক্রবার রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন খোদ স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। সূত্রের খবর, সেখানে তিনি উষ্মা প্রকাশ করেন গার্ডেনরিচের ঘটনা নিয়ে। এমনকি, ‘চোখের আলো’ প্রকল্প নিয়ে আগামী দিনে প্রশ্ন উঠতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যকর্তারা। পাশাপাশি, চোখের অস্ত্রোপচারের জন্য নির্দিষ্ট ‘এসওপি’ জারি করেন তাঁরা। অস্ত্রোপচারের সময়ে কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে, তাতে তা স্পষ্ট ভাবে জানানো আছে। এবং সমস্ত হাসপাতাল ওই ‘এসওপি’ মেনে চলতে কী পদক্ষেপ করছে বা করেছে, তা-ও দু’দিনের মধ্যে রিপোর্ট আকারে স্বাস্থ্য ভবনকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, চোখের পরীক্ষায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম এবং অপারেশন থিয়েটার নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত ওষুধ এবং ফ্লুইড ব্যবহারের আগে সেগুলির ব্যাচ নম্বর নথিভুক্ত করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। এসওপি-র অন্যথা হয়ে কখনও কিছু ঘটলে তার দায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারবেন না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা।
অন্য দিকে, বিভিন্ন হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, সরকারের নির্দিষ্ট করে দেওয়া নিয়ম আদৌ মেনে চলা হচ্ছে কিনা, তা-ও খুঁটিয়ে দেখতে বলা হয়েছে মাইক্রোবায়োলজির প্রধানদের।