পাইপ সারাই, দিনভর বন্ধ টালার জল

শতবর্ষের পুরনো জলের পাইপলাইনে ছিদ্র সারানোর কাজ আট বছর আগে একবার হয়েছিল। পুর আধিকারিকেরা যত দূর মনে করতে পারছেন, সংশ্লিষ্ট পাইপলাইনে সেটাই ছিল বড় মাপের কাজ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৪০
Share:

শতবর্ষের পুরনো জলের পাইপলাইনে ছিদ্র সারানোর কাজ আট বছর আগে একবার হয়েছিল। পুর আধিকারিকেরা যত দূর মনে করতে পারছেন, সংশ্লিষ্ট পাইপলাইনে সেটাই ছিল বড় মাপের কাজ। তার আগে এমনিই ছিদ্র সারানোর রুটিন কাজ যেমনটা হয়, হয়েছিল। তার পরে ফের, আজ, শনিবার ছিদ্র সারানোর কাজ হবে টালা ট্যাঙ্কের পাইপলাইনে। সে জন্য সকালের পর থেকে উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে জল সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, টালা ট্যাঙ্ক থেকে যে পাইপলাইনগুলি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে, তার মধ্যে সবথেকে বড় ৭২ ইঞ্চির পাইপলাইনে অনেক দিন আগেই একটি ছিদ্র হয়েছিল। চিৎপুর রেলওয়ে ইয়ার্ডের ভিতরে ওই পাইপলাইনের থেকে জল বেরিয়ে সেখানে ছোটখাটো পুকুর হয়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন আধিকারিকদের একাংশ। বিষয়টি ধরা পড়ার পরেই মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রস্তুতি নেয় পুরসভা। সেই মতোই এ দিন সকাল থেকে তা মেরামতিতে নেবে পড়বেন পুর ইঞ্জিনিয়ারেরা।

এখন টালা থেকে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার, মহম্মদ আলি পার্ক, পার্ক সার্কাস, বাগমারি, চালপট্টি, অকল্যান্ড স্কোয়ার, কসবা-সহ একাধিক বুস্টার পাম্পিং স্টেশনে জল সরবরাহ হয়। তার ফলে ওই স্টেশনগুলির অধীনস্থ সব এলাকায় এ দিন জল বন্ধ থাকবে। এর পাশাপাশি দক্ষিণ কলকাতার ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৩, ৭৪, ৮৩, ৮৪, ৮৫, ৮৬, ৮৭, ৮৮, ৯০ ও ৯১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারাও এ দিন জল পাবেন না।

Advertisement

পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, টালা থেকে জলের পাইপলাইনগুলি চারটি জোনে ভাগ হয়ে শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। সেগুলির মধ্যে ৪৮ ও ৫৪ ইঞ্চির পাইপলাইন রয়েছে। কিন্তু সর্ববৃহৎ ৭২ ইঞ্চির পাইপলাইনে ছিদ্র হওয়াতেই জরুরি ভিত্তিতে তা মেরামতি করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। শুক্রবার এ বিষয়ে জল সরবরাহ দফতরের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘এমনিই রুটিন ছিদ্র সারাইয়ের কাজ তো সব সময় হয়। কিন্তু এরকম কাজ এর আগে ২০১০ সালে হয়েছিল। এগুলো সেই ব্রিটিশ আমলের পাইপলাইন। এখনও যে কী ভাবে চলছে, সেটাই বিস্ময়!’’

পুরসভার তথ্য বলছে, টালা থেকে প্রতিদিন ১৯ কোটি গ্যালন জল শহরে সরবরাহ হয়। ধাপা, গার্ডেনরিচ-সহ অন্য জলপ্রকল্পগুলি থেকে জল সরবরাহ হলেও, শহরের জলের চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশই টালা পূরণ করে বলে জানাচ্ছেন আধিকারিকেরা। জল সরবরাহ দফতরের নথি বলছে, ব্রিটিশ আমলে টালা থেকে সরাসরি ভবানীপুর, কসবা পর্যন্ত জল সরবরাহের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। জল সরবরাহ দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘পুরসভার মোট বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের সংখ্যা হল ২৪টি। সেখানে শুধুমাত্র টালা থেকেই আটটি বুস্টার পাম্পিং স্টেশনে জল সরবরাহ করা হয়। ফলে বিস্তীর্ণ অংশের উপরে প্রভাব তো পড়বেই।’’

তবে আগামিকাল, রবিবার সকাল থেকে আবার জল সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement