বিক্রম কি মত্ত ছিলেন, জানা যাবে না

রক্তের মাদক পরীক্ষার জন্য কতটা নমুনা সংগ্রহ করতে হয়— তা লেখা রয়েছে ফরেন্সিক ম্যানুয়ালে। পুলিশ এই ম্যানুয়াল মেনে অভিযুক্তের অন্তত ১০ মিলিলিটার রক্ত ফরেন্সিক পরীক্ষাগারে পাঠিয়ে থাকে।

Advertisement

শুভাশিস ঘটক

শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৭ ০৪:২০
Share:

বিক্রম চট্টোপাধ্যায়

গাড়ি দুর্ঘটনার সময়ে চালক অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায় মত্ত ছিলেন কি না, জানার আর কোনও উপায় নেই। কারণ পুলিশের ‘ভুল’।

Advertisement

রক্তের মাদক পরীক্ষার জন্য কতটা নমুনা সংগ্রহ করতে হয়— তা লেখা রয়েছে ফরেন্সিক ম্যানুয়ালে। পুলিশ এই ম্যানুয়াল মেনে অভিযুক্তের অন্তত ১০ মিলিলিটার রক্ত ফরেন্সিক পরীক্ষাগারে পাঠিয়ে থাকে।

কিন্তু তা সত্ত্বেও বড়সড় ‘ভুল’ হয়ে গিয়েছে। বেলগাছিয়া ফরেন্সিক পরীক্ষাগার থেকে পুলিশকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে— ২৯ এপ্রিল গাড়ি দুর্ঘটনায় সোনিকা সিংহ চৌহানের মৃত্যুর পরে বিক্রমের রক্তের নমুনা ম্যানুয়াল মেনে সংগ্রহ করা হয়নি। বেলগাছিয়া ফরেন্সিক পরীক্ষাগারের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার (টক্সিকোলজি) শুভা হাজরা কলকাতা পুলিশের ডিসি (সাউথ)-এর কাছে পাঠানো রিপোর্টে বলেছেন, বিক্রমের রক্তের যে নমুনা পাঠানো হয়েছে, তাতে মাত্র আধ মিলিলিটার (০.৫ এমএল) রক্ত ছিল। তা থেকে মাদকের উপস্থিতি চিহ্নিত করা অসম্ভব।

Advertisement

আরও পড়ুন: সম্পত্তি চাই, ‘নৃশংস মার’ মা-বাবাকে

ফরেন্সিক পরীক্ষাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার ১০ দিন পরে, ৮ মে টালিগঞ্জ থানার তরফে বিক্রমের রক্তের নমুনা জমা দেওয়া হয়েছিল। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের কথায়, রক্তে মাদকের উপস্থিতি জানতে ‘গ্যাস ক্রমাটোগ্রাফি’ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তরল রক্ত প্রথমে বাষ্পীভূত করা হয়। তার পর নানা প্রক্রিয়ায় মাদকের খোঁজ করা হয়। এর জন্য কম করে ১০ মিলিলিটার রক্ত লাগে। পরীক্ষাগারের এক বিজ্ঞানী বলেন, আধ মিলিলিটার রক্ত বাষ্পীভূত করার পর মাদকের উপস্থিতি টের পাওয়া সম্ভব নয়।

সোনিকার চার বান্ধবী আদালতে জানিয়েছিলেন, ঘটনার আগের দিন রাতে তিনটি পানশালায় বিক্রম মদ্যপান করেছিলেন। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁদের অভিযোগ। কিন্তু পুলিশের ‘ভুলে’ তা জানার আর কোনও উপায় রইল না।

কিন্তু কেন এই ‘ভুল’ পুলিশের? লালবাজারে এক কর্তার জবাব, ‘‘খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement