ছবি: পিটিআই।
অতিমারি পরিস্থিতিতে স্কুলে পড়ুয়াদের নিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবস উদ্যাপনে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেই মতো শহরের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শুধু নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা এসেছিলেন। কোভিড-বিধি মেনে হয়েছে পতাকা উত্তোলন। পড়ুয়ারা অনলাইনে অনুষ্ঠান করেছে। তবে উদ্যাপনের আবহেও বুধবার ঘুরেফিরে এসেছে স্কুল খোলার প্রসঙ্গটি। কবে আবার স্বাভাবিক ভাবে স্কুলে নানা অনুষ্ঠান করা যাবে, প্রশ্ন তুলেছে পড়ুয়ারা।
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য জানান, তাঁদের স্কুলে কিছু প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী এসেছিলেন। তিনি বলেন, “প্রাক্তন পড়ুয়ারা নিজেরাই এসে গান, আবৃত্তি করেছে। পড়ুয়া-শূন্য প্রজাতন্ত্র দিবস দেখে ওদেরও খুব মন খারাপ।’’ তিনি জানান, পড়ুয়ারা গান, আবৃত্তির ভিডিয়ো তৈরি করে পাঠিয়েছিল।
মিত্র ইনস্টিটিউশনের ভবানীপুর শাখার প্রধান শিক্ষক রাজা দে জানান, তাঁদের স্কুলে ৫০ শতাংশ শিক্ষক ছাড়াও দু’জন ছাত্র এ দিন উপস্থিত ছিল। তাদের এক জন গান ও এক জন আবৃত্তি পরিবেশন করে।
বেসরকারি বেশির ভাগ স্কুলের পড়ুয়ারা অনলাইনে অনুষ্ঠান করলেও শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা অনেকেই স্কুলে উপস্থিত থেকে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করেছেন। রামমোহন মিশন হাইস্কুলের অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাস বলেন, “বেশির ভাগ শিক্ষকই এ দিন উপস্থিত ছিলেন। পড়ুয়ারা অনলাইনে অনুষ্ঠান করেছে। আমরা আশাবাদী, আগামী বছর প্রজাতন্ত্র দিবস স্কুলের সব পড়ুয়াকে নিয়েই পালন করব।” সব স্বাভাবিক হয়ে গেলে চলতি বছরের ১৫ অগস্ট পড়ুয়াদের নিয়ে উদ্যাপন করার পরিকল্পনা আছে বলে জানান তিনি।