নবান্ন। —ফাইল চিত্র।
দফতর অধীনস্থ শিশু শিক্ষা প্রকল্প এবং মাধ্যমিক শিক্ষা প্রকল্প কেন্দ্রের কর্মীদের বার্ষিক সাম্মানিক বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করল রাজ্য নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দফতর। শিশু শিক্ষা প্রকল্প কেন্দ্রের শিক্ষা সহায়ক/সহায়িকা এবং সার্বিক কেন্দ্রের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা ‘অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার’-এর সাম্মানিক বার্ষিক তিন শতাংশ হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত মাসেই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে দফতর। মাধ্যমিক শিক্ষা প্রকল্প কেন্দ্রের সম্প্রসারক/সম্প্রসারিকাদের সাম্মানিকও একই হারে বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে রাজ্যপালের অনুমোদনও পাওয়া গিয়েছে। প্রস্তাবিত বৃদ্ধি গত ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।
প্রসঙ্গত, দফতর সূত্রের খবর, শিশু শিক্ষা প্রকল্প কেন্দ্রের প্রাথমিক উদ্দেশ্যই হল, পুর এলাকার অধীনস্থ ৫-৯ বছর বয়সি সমস্ত শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষার অধীনে আনা। রাজ্যের সমস্ত পুর এলাকায় এই প্রকল্প যৌথ ভাবে বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রারম্ভিক শিশু শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থা এবং রাজ্য নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দফতর। কোন শর্তে শিশু শিক্ষা প্রকল্প কেন্দ্র স্থাপন করা যাবে, তারও বিস্তারিত তথ্য দফতরের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন, স্কুলে না যাওয়া কমপক্ষে ২০ জন পড়ুয়াকে নিয়ে প্রাথমিক ভাবে শিশু শিক্ষা প্রকল্প কেন্দ্র শুরু করা যেতে পারে। সর্বোচ্চ পড়ুয়া সংখ্যা হতে পারে ৪০। সে ক্ষেত্রে দু’জন শিক্ষা সহায়িকা পড়াশোনার দায়িত্বে থাকবেন। প্রকল্প কেন্দ্রে পড়ানোর পদ্ধতি, বই, দৈনিক স্কুলের সময়, সবই সাধারণ স্কুলের মতো হওয়া প্রয়োজন। বইখাতা ও পড়ার অন্যান্য সামগ্রীর জন্য প্রয়োজনীয় খরচ দফতর এবং প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য সংস্থা বহন করে। একই ভাবে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রকল্প কেন্দ্রেও পুর এলাকায় ন’বছরের ঊর্ধ্বে, স্কুলে না যাওয়া পড়ুয়াদের পড়ার সুবিধা করে দেওয়া হয়।