পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৫০০। সেই স্কুল চালানো হচ্ছিল চার জন শিক্ষককে দিয়ে। যদিও খাতায়-কলমে শিক্ষকের সংখ্যা ১৮। অভিযোগ, চার জন পদত্যাগ করেছেন প্রধান শিক্ষিকার খারাপ ব্যবহারের জন্য। বাকি ১০ জন নাকি স্কুলেই আসেন না।
এহেন পরিস্থিতির জন্য মঙ্গলবার কাশীপুর থানা এলাকার একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়া ও অভিভাবকেরা। বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে যায় পঠনপাঠন। অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রচুর টাকা নিলেও ঠিক মতো ক্লাস হয় না। দিনের পর দিন পড়ুয়ারা আসে আর ফিরে যায়। সে কারণেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হয়েছেন।
বিক্ষোভ ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে দেখে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাশীপুর থানার পুলিশ। অভিভাবকেরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পরে থানায় যান। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকেও ডেকে পাঠানো হয় থানায়। জানা গিয়েছে, পুলিশের মধ্যস্থতায় আজ, বুধবার থেকে স্বাভাবিক ভাবে স্কুল শুরু হবে। শিক্ষকের অভাব মেটাতে সাময়িক ভাবে চুক্তি ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। পড়াশোনার যাতে ক্ষতি না হয়, তা দেখারও আশ্বাস
দিয়েছেন তাঁরা।