যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
জুলাইয়েও ভর্তি-দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। পরে জামিন পান। টাকা নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টোপ দিয়ে আবার গ্রেফতার হলেন জাহির আহমেদ নামে এক যুবক। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে শুভজিৎ সাহা নামে অন্য এক যুবককেও।
ভর্তির নামে দাদাগিরি এবং টাকা নিয়ে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়ার বেশি অভিযোগ এত উঠত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং তাদের অধীন কলেজগুলিতেই। যাদবপুরও যে কম যায় না, এ দিনের ঘটনা তারই প্রমাণ বলে শিক্ষা শিবিরের একাংশের অভিমত। জাহির ও শুভজিৎ এক ছাত্রকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নেন বলে অভিযোগ। ভর্তি-দুর্নীতিতে জুলাইয়ে গ্রেফতার হয়েও জামিনে মুক্ত জাহিরের বিরুদ্ধে আবার একই অভিযোগ ওঠায় বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষা শিবিরে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, এ দিন এক যুবক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ইউনিয়নের ঘরে এসে জানান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার জন্য দুই যুবক তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। কিন্তু ভর্তি করিয়ে দেননি। তাঁর কাছে ১২-১৪ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল। তিনি প্রথমে তিন হাজার টাকা দিয়েছিলেন। অভিযোগ পেয়ে ওই ছাত্রকে দিয়েই জাহির ও শুভজিৎকে ডাকিয়ে আনা হয়।
ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ইউনিয়নের বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক অভীক দাস জানান, জাহির ও শুভজিৎ দু’জনেই স্বীকার করেন, ভর্তি করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাঁরা টাকা নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়। খবর যায় যাদবপুর থানায়। পুলিশ এসে দুই অভিযুক্তকে নিয়ে যায়। রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কোনও পরিস্থিতিতেই যাদবপুরে টাকার বিনিময়ে ভর্তি নেওয়া হয় না। বিষয়টা আমরা পুলিশের উপরেই ছেড়ে দিয়েছি।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই নেতা দেবরাজ দেবনাথের অভিযোগ, অভিযুক্ত দুই যুবক তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর কর্মী। তবে টিএমসিপি সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য অবশ্য জানান, ওই দু’জনের সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই।