বাইক-ট্যাক্সিতে উৎসাহী আরও বেসরকারি সংস্থা

পরিবহণ দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, এই সাফল্য দেখেই বিধাননগর এলাকায় বাইক-ট্যাক্সি চালাতে উৎসাহ দেখিয়েছে আরও কিছু ছোট সংস্থা। দু’টি সংস্থা ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে বাইক-ট্যাক্সি চালাতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে।

Advertisement

অত্রি মিত্র

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৫৭
Share:

নিউ টাউন থেকে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে গিয়েছে পুরো বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায়। তাতে সাফল্যও মিলেছে। যার ফলস্বরূপ বাইক-ট্যাক্সি চালাতে উৎসাহ দেখাল আরও দু’টি সংস্থা। এমনকী, বর্তমানে যে দু’টি সংস্থা রয়েছে, তাদের মধ্যে একটি সংস্থা মোটরবাইকের সংখ্যা আরও বাড়াতে চেয়ে আবেদন জানাল সরকারের কাছে।

Advertisement

পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরেই বিধাননগর এবং নিউ টাউন এলাকায় শতাধিক বাইক-ট্যাক্সি চলবে।

গত বছরের জুলাই মাসে বাইক-ট্যাক্সিকে আইনি বৈধতা দিয়েছিল রাজ্য পরিবহণ দফতর। তবে তা বাস্তবায়িত হয় চলতি বছরের এপ্রিল মাসে। প্রাথমিক ভাবে রাজ্য সরকার নিউ টাউনের অ্যাকশন এরিয়া ওয়ান এবং টু-তে বাইক-ট্যাক্সি চালানোর অনুমোদন দেয়। একটি সংস্থা এপ্রিলে প্রথম ওই পরিষেবা চালু করে। মাস দুয়েকের মধ্যে আরও একটি সংস্থা বাইক-ট্যাক্সি চালাতে শুরু করে। এর কিছু দিনের মধ্যেই সাফল্য মেলায় সরকার বাইক-ট্যাক্সি চালানোর এলাকা নিউ টাউন থেকে বাড়িয়ে বিধাননগরের সেক্টর ওয়ান থেকে ফাইভ পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতো গোটা এলাকাতেই এখন পুরোদমে দু’টি সংস্থার চল্লিশটিরও বেশি বাইক-ট্যাক্সি চলছে।

Advertisement

পরিবহণ দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, এই সাফল্য দেখেই বিধাননগর এলাকায় বাইক-ট্যাক্সি চালাতে উৎসাহ দেখিয়েছে আরও কিছু ছোট সংস্থা। দু’টি সংস্থা ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে বাইক-ট্যাক্সি চালাতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে। আর পুরনো একটি সংস্থা মোটরবাইকের সংখ্যা বাড়াতেও চাইছে। পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘নিউ টাউন এবং বিধাননগর এলাকায় যাতায়াতের মাধ্যম কম। সে ক্ষেত্রে ছোট ছোট দূরত্বে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে বাইক-ট্যাক্সি কম খরচে খুবই উপযোগী মাধ্যম। বিশেষত, অফিসযাত্রীদের ক্ষেত্রে এই মাধ্যম ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।’’

ওই কর্তা জানান, ইতিমধ্যে ওলা, উব্‌রের মতো বড় সংস্থাও বাইক-ট্যাক্সি চালানোর ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছে। ওই কর্তা বলেন, ‘‘ওলা, উব্‌রের মতো সংস্থাগুলি গুরুগ্রামের মতো শহরে বাইক-ট্যাক্সি চালিয়ে সাফল্য পেয়েছে।’’ যদিও ওই সব সংস্থাকে চালানোর অনুমতি দেওয়ার আগে বিধির কিছু পরিবর্তন করতে হবে বলে জানান ওই কর্তা।

তবে, নতুন যে সংস্থাই আসুক, নিরাপত্তা এবং পরিচ্ছন্নতার শর্তগুলি একই রকম থাকছে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর। নতুন সংস্থাকেও বলা হয়েছে, বাইকচালক নিয়োগের আগে সরকারের নির্দিষ্ট করে দেওয়া নিরাপত্তা সংস্থাকে দিয়ে তাঁদের বিস্তারিত খতিয়ে দেখে নিতে। নিয়মিত বাইকগুলির চলাফেরার বিস্তারিত রেকর্ড রাখতে হবে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে। এমনকী, বাইক পরিষেবা দেওয়ার অ্যাপেই রাখতে হবে ‘প্যানিক বাটন’, যার মাধ্যমে যাত্রীর সঙ্গে সংস্থার, পুলিশের এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ দু’জনের নম্বর যুক্ত থাকবে। আর পরিচ্ছন্নতার কথা মাথায় রেখে যাত্রীর জন্য পরিষ্কার হেলমেট রাখতে হবে। হেলমেট পরার আগে যাত্রীদের একটি কাপড়ের টুপিও দিতে হবে। গন্তব্যে পৌঁছনোর পরে ওই টুপি ফেলে দেবেন যাত্রীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement