ফের গ্রেফতারি পামেলা-কাণ্ডে। —নিজস্ব চিত্র।
মাদক-কাণ্ডে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত দু’জন মাদক কারবারী বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের দাবি, তাঁদের কাছ থেকেই ঘুরপথে বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহেরর কাছে মাদক পৌঁছত। ধৃতদের কাছ থেকে ১০ গ্রাম কোকেনও উদ্ধার হয়েছে।
এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে, মঙ্গলবার সুইটি সিংহ নামের এক তরুণীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, মাদক কারবারীদের কাছ থেকে তা রাকেশের কাছে পৌঁছে দিতেন সুইটি। জেরায় সে কথা কবুলও করেছেন তিনি। তাঁর কাছ থেকেই আরও দু’জনের নাম উঠে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দু’জনের নাম ফারহান আহমেদ এবং দইম আখতার। প্রথমে দইমের কাছ থেকে মাদক যেত ফারহানের কাছে। সেখান থেকে কিনতেন সুইটি। তার পর রাকেশের কাছে তা পৌঁছে দিতেন। গ্রেফতার করার সময় ফারহানের কাছ থেকে প্যাকেটবন্দি ১০ গ্রাম কোকেনও উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তবে নিজের বয়ানে পামেলা গোস্বামীর দাবিতেই সুইটি সায় দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, পামেলাকে ফাঁসানোর জন্য ফারহানকে ব্যবহার করেন রাকেশ। ফারহানকে দিয়েই পামেলার গাড়িতে কোকেন রাখিয়েছিলেন তিনি।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক এবং হুগলি জেলার পর্যবেক্ষক পামেলাকে নিউ আলিপুর থেকে ১০ লক্ষ টাকার কোকেনসমেত গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সময়ই রাকেশের নাম সামনে আনেন পামেলা। তার পর বর্ধমানের গলসি থেকে রাকেশকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় রাকেশ-ঘনিষ্ঠ জিতেন্দ্রকুমার সিংহকেও। তার পর একে একে সূর্যকুমার শাহ, সুইটি, ফারহান, এবং দইমের নাগাল পায় পুলিশ। অমৃত সিংহ নামে আরও এক অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।