(বাঁ দিকে) কুণাল সরকার এবং সুবর্ণ গোস্বামী (ডান দিকে)। সোমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। —নিজস্ব চিত্র
আরজি কর-কাণ্ডে সদর্থক ভূমিকা নিক পুলিশ। প্রয়োজনে কলকাতা পুলিশকে সাহায্য করা হবে। লালবাজার থেকে বেরিয়ে এমনই জানালেন পুলিশের সমন পাওয়া দুই চিকিৎসক কুণাল সরকার এবং সুবর্ণ গোস্বামী। সোমবার দুপুরে এই দুই চিকিৎসককে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে থেকে সঙ্গে নিয়ে মিছিল করে লালবাজারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেওয়া হলেও লালবাজারে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় দুই চিকিৎসককে। প্রায় এক ঘণ্টা পরে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা।
আরজি কর-কাণ্ডে মিথ্যা তথ্য এবং গুজব ছড়ানোর অভিযোগ কুণাল এবং সুবর্ণকে তলব করেছিল লালবাজার। লালবাজারে হাজিরা দেওয়ার পর দুই চিকিৎসকই অবশ্য বলেন, ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ’ পরিবেশে কথা হয়েছে। পুলিশের তরফে কী ভুল ছিল, তা-ও তাঁরা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে জানিয়েছেন বলে জানান সুবর্ণ। তবে চিকিৎসকদের সমন পাঠানোর তীব্র নিন্দা করেন তিনি। সুবর্ণ বলেন, “যদি আমাদের তরফ থেকে কোনও পরামর্শেরই প্রয়োজন হত, তবে ফোন করে বা চিঠি দিয়ে ডাকা যেত। সমন পাঠাতে হল কেন? এটা চিকিৎসকেরা ভাল ভাবে নিচ্ছেন না।” সুবর্ণের দাবি, কলকাতার পরিস্থিতি শান্ত এবং স্বাভাবিক করতে লালবাজার তাঁদের সাহায্য চেয়েছে। এই বিষয়ে প্রয়োজনে পুলিশকে সাহায্য করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
অন্য দিকে কুণাল পুলিশকে সদর্থক ভূমিকা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ-প্রশাসনের সদর্থক ভূমিকা নেওয়া উচিত।” লালবাজার থেকে বেরিয়ে ফের কলকাতা মেডিক্যালে যান দুই চিকিৎসক। সেখানে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সামনে বক্তৃতা করেন তাঁরা।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর সমাজমাধ্যমে এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে নানা তথ্য ছড়াচ্ছে। অনেকাংশেই যা ভিত্তিহীন বলে অভিযোগ।এই আবহে চিকিৎসক কুণাল এবং সুবর্ণকে রবিবার ডাকে লালবাজার। কুণাল এবং সুবর্ণ জানিয়েছিলেন, তাঁরা সোমবার হাজিরা দেবেন। কলকাতা মেডিক্যাল থেকে মিছিল করে কুণাল এবং সুবর্ণকে লালবাজারে নিয়ে যান চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, তাঁদের কণ্ঠরোধ করার জন্যই কলকাতা পুলিশের এই তলব। সোমবার আরও এক চিকিৎসককে তলব করা হয়।