(বাঁ দিকে) মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। দীপ্সিতা ধর (মাঝে)। অগ্নিমিত্রা পাল (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
কাটাপুকুর মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার জয়নগরের নির্যাতিতা শিশুর দেহ আনা হলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে সিপিএম এবং বিজেপি। এই ঘটনায় সাউথ পোর্ট থানায় দু’টি মামলা দায়ের করা হল। একটি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুজু করেছে পুলিশ। দ্বিতীয়টি রুজু করেছেন বারুইপুর থানার আইসি। এফআইআরে নাম রয়েছে সিপিএম নেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, দীপ্সিতা ধর, বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। ২৪ বছরের সৌম্যজিৎ মাল এবং ৩৪ বছরের দীপঙ্কর ভান্ডারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জয়নগরে ন’বছরের শিশুকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় শনিবার দিনভর উত্তপ্ত ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর। ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার বিকেলে নির্যাতিতার দেহ মোমিনপুরের কাটাপুকুরে আনা হতে পারে খবর পেয়ে সেখানে জড়ো হন সিপিএম এবং বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। অগ্নিমিত্রার নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীরা এবং মিনাক্ষী, দীপ্সিতাদের নেতৃত্বে সিপিএম কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ তাঁদের সরাতে গেলে শুরু হয় খণ্ডযুদ্ধ। পরিস্থিতির মোকাবিলায় মর্গের সামনে উপস্থিত হন পুলিশের সেন্ট্রাল, দক্ষিণ এবং বন্দর ডিভিশনের বাহিনী। শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ যখন মর্গে নির্যাতিতার দেহ আনা হয়, তখন দীপ্সিতারা স্লোগান দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। তাঁরা ‘তথ্যপ্রমাণ এবং দেহ লোপাট’-এর অভিযোগ করতে থাকেন।
এর পর পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়াতেও দেখা গিয়েছে দীপ্সিতাদের। বাম কর্মীরা বিচার বিভাগীয় নজরদারিতে নির্যাতিতার দেহের ময়নাতদন্তের দাবি তোলেন।
প্রসঙ্গত, ৯ অগস্ট রাতে মর্গ থেকে আরজি করের সেই নির্যাতিতা চিকিৎসকের দেহ বার করার পর তা আটকাতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে দেখা গিয়েছিল মিনাক্ষী-সহ সিপিএমের যুব নেতৃত্বকে। সেই প্রসঙ্গ তুলে শনিবার পুলিশকে কটাক্ষ করেন দীপ্সিতারা। তাঁদের অভিযোগ, আবার পুলিশ সেই রাতের মতোই ‘প্রমাণ লোপাট’-এর চেষ্টা করছে। পুলিশের বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগও করেন তাঁরা। যদিও পুলিশ অভিযোগ মানেনি। পরে পুলিশবাহিনী ওই এলাকা ঘিরে সেখান থেকে সকলকে বার করে দেয়। এ বার সেই ঘটনায় দু’টি মামলা রুজু করা হল পুলিশের তরফে। সরশুনার দীপঙ্কর এবং চুঁচুড়ার সৌম্যজিৎকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।