তদন্তকারীরা জানান, অভিযুক্তেরা ওই ফিউজ়ের মধ্যে থাকা তামা এবং ধাতব অংশ বিক্রি করে দিত। এই চক্রে আর কারা রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে বলে সূত্রের দাবি।
ফাইল চিত্র।
সব কিছুই ঠিক আছে। তবু আচমকা বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং হচ্ছিল। মাসখানেক ধরে দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জ, আলিপুর, ভবানীপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় শেষ রাতে ঘটছিল এই ঘটনা। খোঁজ নিয়ে বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থা সিইএসসি জানতে পারে, তাদের বিভিন্ন ট্রান্সফর্মারের সঙ্গে যুক্ত স্তম্ভ থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে ফিউজ়। সেই কারণেই লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছে বিভিন্ন এলাকা।
পুলিশ জানায়, চলতি সপ্তাহে ওই বিদ্যুৎ সংস্থার তরফে অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তল্লাশি চালিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে ভবানীপুর থানা। ধৃতদের নাম আকাশ মণ্ডল ও গৌরব মণ্ডল। পুলিশ জানিয়েছে, গৌরবের পুরনো লোহালক্কড়ের দোকান রয়েছে। আকাশ শেষ রাতে বেরিয়ে শরৎ বসু রোড ও টালিগঞ্জের মতো এলাকা থেকে ফিউজ় চুরি করত। যা পরে সে বিক্রি করত গৌরবকে। ধৃতদের কাছ থেকে ১৬টি এমন ফিউজ় উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। আদালত সূত্রের খবর, ধৃত দু’জনকে শুক্রবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক তাদের চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায়, এই চক্রটি বেশ কিছু দিন ধরেই এই কাজ করে যাচ্ছিল। গত মাসে অজয় নাইয়া এবং এহতে শাম নামে দু’জনকে একই অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তার পরে কিছু দিন ফিউজ় চুরি বন্ধ ছিল। ফের তা শুরু হয়। বিভিন্ন থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল বিদ্যুৎ সংস্থার তরফে।
তদন্তকারীরা জানান, অভিযুক্তেরা ওই ফিউজ়ের মধ্যে থাকা তামা এবং ধাতব অংশ বিক্রি করে দিত। এই চক্রে আর কারা রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে বলে সূত্রের দাবি।